১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ০৯:০০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোপা উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনায় হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৭-২০২৫
শিরোপা উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনায় হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) প্রথম আইপিএল শিরোপা জয়ের উদ্‌যাপন মুহূর্তেই রূপ নেয় বিভীষিকায়। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান ১১ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৫০ জন। মর্মান্তিক এই ঘটনার তদন্ত নিয়ে শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন ও চাপের মুখে ছিল দেশটির রাজ্য সরকার।


তবে সোমবার কর্ণাটক হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। 

সরকারের গোপনীয়তা চাওয়ার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেছেন, ‘এগুলো শুধুই সরকারের উপলব্ধি করা ঘটনা, এসব গোপন রাখার কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’


হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আরসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজি, কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং ইভেন্ট পার্টনার ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কস’র কাছেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। 


জানা গেছে, সিআইডি তদন্ত চলছে এবং আরসিবি ও ডিএনএর শীর্ষ কর্তারা গত এক মাসে নিজেদের বক্তব্য জমা দিয়েছেন।


ঘটনার পর থেকে এখনো পর্যন্ত আরসিবি তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো আপডেট দেয়নি। গত ৪ জুনের পর দলটির কোনো পোস্ট নেই। আরসিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এখনো সিআইডির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। দলটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও ডিএনএ কর্তৃপক্ষ গত এক মাস ধরে তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন।


যদিও মামলার রায় ঘোষণার দিন এখনো জানানো হয়নি।

জুলাইয়ের শুরুতে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল জানান, সামাজিক মাধ্যমে উদ্‌যাপন প্যারেডের ঘোষণা দেওয়ার পর স্টেডিয়ামের বাইরে ৩-৫ লাখ মানুষ জমায়েত হন। এত বিশাল জনসমাগমের পূর্বানুমান থাকা সত্ত্বেও কোনো রকম প্রস্তুতি বা অনুমতি ছাড়া এই আয়োজন করায় ট্রাইবুনাল এটিকে ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ ও ‘জনসাধারণের জন্য হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন।


ঘটনার পর বেঙ্গালুরু পুলিশের আইজি বিকাশ কুমারসহ পাঁচজন কর্মকর্তাকে ‘দায়িত্বে গাফিলতির’ অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়। বিকাশ কুমার কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে ন্যায়বিচারের আবেদন জানালে ট্রাইবুনাল বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেন।


আরসিবি কর্তৃপক্ষ ঘটনার পরপরই ‘আরসিবি কেয়ারস’ নামে একটি তহবিল গঠনের কথা বললেও, এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এ ছাড়া নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেও ভুক্তভোগীদের অনেকেই বলছেন, তারা এখনো সঠিক সহায়তা পাননি।


শেয়ার করুন