আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে সংঘটিত দীপু হত্যাকাণ্ডের মতো আরও সহিংস ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), সব রেঞ্জের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, “ময়মনসিংহে একজন হিন্দু নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আরও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসব যাতে না ঘটে, সে ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখা অত্যন্ত জরুরি।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দীপু চন্দ্র দাশকে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। পরে তাকে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় পরবর্তীতে র্যাব জানায়, দীপু চন্দ্র দাশ কোথায় ও কবে ধর্ম অবমাননা করেছেন—এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভায় ডিসি ও এসপিদের আশ্বাসের কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, “তাদের বক্তব্য শুনে আমার বুকের জোর বেড়েছে। আমার একমাত্র অ্যাজেন্ডা দেশ ও জাতির কল্যাণ। আপনাদের সহযোগিতা পেলে সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব। কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করবেন না।”
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে দুজন ব্যক্তি ভিভিআইপি—একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, অন্যজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। আইন থাকলে এখনই তা ঘোষণা করে দিতাম।”
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রার্থীদের সতর্ক করে সিইসি বলেন, “ঢাকা শহরজুড়ে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। কিন্তু সেগুলো সরানোর উদ্যোগ আপনাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।”
এ সময় অভিযোগ ব্যবস্থাপনা নিয়েও কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন এখন অভিযোগ দাখিলের দপ্তরে পরিণত হয়েছে। জনগণকে জানাতে হবে কোথায় অভিযোগ করতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে এবং সেখান থেকে অভিযোগ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।”
