২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৯:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস আজ, স্বনির্ভরতাই লক্ষ্য
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৮-২০২৩
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস আজ, স্বনির্ভরতাই লক্ষ্য

করোনার প্রকোপ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে বিশ্ব। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না থামলেও এটিকে একটি চলমান প্রক্রিয়া ধরে নিয়েই কর্মকা- অব্যাহত রাখায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বিশ্বের জ্বালানির বাজারে। দেশের বাজারেও পড়েছে এর প্রভাব। পুনরায় শুরু হয়েছে স্পট মার্কেট থেকে জ্বালানি আমদানি। কুয়েত ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি হচ্ছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ করছে সরকার। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে কূপ খননে জোর দেওয়া হয়েছে।


প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানেরও। ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে এর উৎপাদনের অংশীদার চুক্তিও (পিএসসি)। এবার জরিপ কাজের পালা। এরপরই দরপত্র আহ্বান করা। দেশে দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয়, দেশের অভ্যন্তরে তেলের পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার। যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। এমন পরিস্থিতিতেই আজ দেশজুড়ে পালিত হতে যাচ্ছে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর-পরিদপ্তর নানামুখী আয়োজনে দিবসটি পালন করবে আজ। 


সরকারের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর নাগাদ প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা দাঁড়াবে দৈনিক ৫ হাজার ৭৯ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমান চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ বেশি। দেশে গ্যাসের মজুত কমে আসা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের সঙ্গে এর বর্ধিত চাহিদা মেটানোর জন্য এরই মধ্যে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। তবে বর্তমানের মতো কেবল আমদানি নির্ভর থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু জ্বালানি আমদানিতে ব্যয় হবে ২৪-৩০ বিলিয়ন ডলার। এমন পরিস্থিতিতে তেল ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে বিকল্প হিসেবে কয়লা এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি দেশী কূপগুলো অনুসন্ধানে তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ৬ (সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ, জকিগঞ্জ এবং ইলিশা) নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।


এছাড়া শাহবাজপুর ইস্ট, টবগী-১, ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২ কূপ খনন কাজ শেষ হয়েছে। এবং বাণিজ্যিকভাবে ইত্তোলনযোগ্য গ্যাস পাওয়া গিয়েছে। ২০০৯ সালের জুন থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ১৩২টি কূপ খনন করা হয়েছে জানিয়ে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব জনকণ্ঠকে বলেন, অনশোরে দেশীয় কোম্পানি বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএলের অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ (অনুসন্ধান, উন্নয়ন/মূল্যায়ন, কূপের ওয়ার্কওভার) খনননের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছি। তবে এ কাজ ২০২৪ সালের মধ্যেই শেষ করার নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। আমরা সেই নিদের্শনা মোতাবেকই কাজ করছি। এর মধ্যে ৭টি প্রকল্পের আওতায় ১৬টি কূপ খনন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া বিয়ানিবাজার-১ ও তিতাস-২৪ কূপের ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্নের পর গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। 


জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে মোট গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে ২৯টি। এর মধ্যে উৎপাদন হচ্ছে ২০টিতে। উৎপাদনরত কূপ রয়েছে ১০৭টি। সব মিলিয়ে দেশে মোট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ২২০০- এমএমসিএফডি থেকে বেশি। এছাড়া রি-গ্যাসিফাইড এলএনজি সরবরাহ ক্ষমতা রয়েছে ১০০০ এমএমসিএফডি। আর মোট প্রাক্কলিত গ্যাসের মজুত (প্রমাণিত+সম্ভাব্য) ২৮.৬২ টিসিএফ। অবশিষ্ট গ্যাসের মজুত রয়েছে ৮.৬৮ টিসিএফ। আর গ্যাসের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪৩ লাখ। বর্তমানে সবয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। মোট গ্যাসের ৪১ শতাংশই ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। আবাসিক খাতে ব্যাবহৃত হচ্ছে ১১ শতাংশ গ্যাস। শিল্পে ১৯ শতাংশ, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৮ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার করছে। সরকারের পরিকল্পনামতো কূপগুলোতে গ্যাস পাওয়া গেলে শিল্পখাতসহ অন্যান্য খাতে গ্যাসের সরবরাহ আরও বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


তবে সরকারের পক্ষ থেকেই বারবার বলা হচ্ছিল, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত সীমিত হয়ে আসছে। কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। এ চাহিদা মেটাতে উচ্চমূল্যের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হচ্ছে সরকারকে। গ্যাস খাতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতি বছরই ক্রমান্বয়ে এলএনজির আমদানি বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। পেট্রোবাংলা সূত্রে  জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছর এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। ওই অর্থবছর দেশে এলএনজিবাহী ৭৬টি কার্গো আমদানি করা হয়। এসব কার্গো আমদানি ব্যয়, রি-গ্যাসিফিকেশন ব্যয়, ভ্যাট, এআইটি ও পোর্ট চার্জসহ মোট ১৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা খরচ হবে। এ ছাড়া এলএনজি সরবরাহ করতে টার্মিনালের অপারেশন চার্জ বাবদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে আরও ১৪০ কোটি টাকা দিতে হয়। 

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রাক্কলিত রাজস্ব চাহিদায় মোট গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ কমেছে, অথচ স্পট মার্কেট থেকে ৮৩ দশমিক ৪৭ টাকা মূল্যহারে এলএনজি আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। ফলে আর্থিক ঘাটতি তৈরি হয় তখন। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিও চাপ তৈরি করে। ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত গড়ে কম-বেশি ৫০০ এমএমসিএফডি এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত গড়ে আমদানি হয়েছে ৬২৯ দশমিক ৭৭ এমএমসিএফডি।


তাতে দেখা যায়, স্পট মর্কেটে একদিকে এলএনজির দাম বেড়েছে, অন্যদিকে আমদানিকৃত এলএনজিতে ওই এলএনজির অনুপাতও বেড়েছে। চড়া মূল্যে এলএনজি আমদানির এ ধারাবাহিকতায় গত অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পেট্রোবাংলা ও টিসি উভয়ই গ্যসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে। কিন্তু এরই মধ্যে দেশীয় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করেছে আইওসি প্রায় ৫৫ ও বিজিএফসিএল ১৫ এমএমসিএফডি। 

এমন অবস্থায় দেশের বর্তমান জ্বালানি সংকটের পেছনে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চেয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান না করাই বেশি দায়ী বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গত ২০ বছরে বাংলাদেশ মাত্র ২৬টি কূপ খনন করেছে, যা তেল-গ্যাস তথা হাইড্রোকার্বন পাওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা আছে এমন দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশের দুর্বলতাকে উন্মোচন করেছে কেবল। এর মূল কারণ গ্যাস অনুসন্ধানের ওপর জোর দেওয়ার বদলে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানির ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা। তবে এখন যেহেতু কূপ খনন, ওয়ার্কওভার এমনকি সমুদ্রেও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের তোড়জোড় শুরু হয়েছে আশা করছি দেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা কিছুটা হলেও নিশ্চিত হবে। 

শুধু গ্যাস অনুসন্ধানই নয় তেলের চাহিদা মেটাতেও কাজ করছে সরকার জানিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জনকণ্ঠকে বলেন, পেট্রোলকে অকটেনে রূপান্তরের জন্য রশিদপুরে দৈনিক ৩ হাজার ব্যারেল ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যাটালাইটিক রিফরমিং ইউনিট স্থাপন প্রকল্প এবং শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের জন্য ৬০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেস প্ল্যান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন সফলভাবে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বলে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে জ্বালানি তেলের মজুত ক্ষমতা ৯ লাখ টন থেকে ১৩ দশমিক ৯ লাখ টনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা দেশের প্রায় ৪০-৪৫ দিনের জ্বালানি চাহিদা পূরণে সক্ষম। পাশাপাশি দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের পরিশোধন ক্ষমতা আরও ৩ লাখ টন বৃদ্ধির জন্য ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক ডিজাইন তৈরির কাজও সম্পাদন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে জ্বালানি দেশের অভ্যন্তরের তেল পরিশোধনের ক্ষমতা আরও বাড়বে। 

বর্তমানে বিশ্বজুড়েই জ্বালানি নিরাপত্তা টালমাটাল অবস্থায় থাকলেও বাংলাদেশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জনকণ্ঠকে বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি সম্প্রসারণ এবং গ্রিন হাউস গ্যাস কমানোর জন্য বিশ্বব্যাপী প্রয়াসের অংশ হিসেবে সরকার নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎসাহিত করছে। উন্নত দেশগুলো হাইড্রোজেনকে জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য কাজ করছে। এখন সামুদ্রিক শক্তি, বায়ুশক্তি এবং ছাদের ওপর সৌর ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করার সময়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গ্যাসের যে রিজার্ভ, তাতে হয়তো আর ৮ বছর চলবে।


এরপর কী হবে? দেশে এখন অনেক গ্যাসকূপ আবিষ্কার হয়েছে, ছোট করে হলেও প্রতি বছর ১০০টি কূপ খনন করলেও ২ বিলিয়ন ডলার লাগবে। সেই আর্থিক ব্যবস্থাপনাও চিন্তা করতে হবে। যেমন বাপেক্স নিজের ব্যবস্থাপনায় কাজ করে। দুই বছর ড্রিলিং করে ৬৫০ এমএমসিএফ গ্যাস পাওয়া যাবে। ভোলার গ্যাস ঢাকায় নিয়ে আসার চিন্তা চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে খুলনা পর্যন্ত সে গ্যাস আনতে ৯-১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আমাদের আরেকটা সংযোজন হচ্ছে সিঙ্গেল মুরিং পাইপলাইন। পানির নিচ দিয়ে ২৬০ কিলোমিটার লাইন তৈরি করা হয়েছে। আগে মাদার ভেসেল থেকে তেল খালাস করতে ১২ দিন লাগত। এখন লাগবে ৪৮ ঘণ্টা। যা সরাসরি পতেঙ্গায় চলে যাবে।


এ ছাড়া মহেশখালীতেও ডিপো করা হয়েছে যদি পতেঙ্গায় কোনো বিপর্যয় হয়। এটাও জ্বালানি নিরাপত্তার অংশ। আরেকটি বিষয়, পতেঙ্গা থেকে ঢাকায় সরাসরি তেল সরবরাহের লক্ষ্যে পাইপলাইন তৈরি করা হবে। ঢাকায় প্রতিদিন ২৫০ তেলবাহী ট্রাক প্রবেশ করে, এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ তেল নষ্ট হয়। আগামী বছর থেকে তা আর হবে না।

আগামী ২ বছর জ্বালানি খাতের একটা ‘ক্রিটিক্যাল’ সময় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন দরকার দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করা হবে। আমরা গ্যাসের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসব। ডেনমার্কের একটি কোম্পানি অফশোরে উইন্ড পাওয়ার (সমুদ্রের বাতাসের শক্তি থেকে নেওয়া শক্তি) করার জন্য ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের নিশ্চিত করে। অফশোরে গ্যাসের জন্য মাল্টি ক্লায়েন্ট সার্ভে শেষ পর্যায়ে।


গভীর সমুদ্রে কাজ করার জন্য একটা অবস্থানে এসেছি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর তিন বছরের মাথায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে মূল কমিটি সম্পাদন করে গেছেন। বিদেশী কোম্পানি দ্বারা আবিষ্কৃত ৫টি গ্যাসফিল্ড ১২ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছিলেন। সে ৫টি গ্যাসফিল্ড এখনো দেশকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। এই দূরদৃষ্টির কারণেই তিনি জাতির পিতা। ১৯৯৬ সালে বিদ্যুৎ খাতকে প্রাইভেট সেক্টরে নিয়ে আসার আইন আওয়ামী সরকার করেছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার জন্য অনেক বাধাবিপত্তি আসে, বলা হয়েছিল যে ব্যবসায়ীরা এ খাতে একচেটিয়া ব্যবসা করবে। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেগুলোকে পাত্তা না দিয়ে সে আইন পাস করেন। এসবই জ্বালানি নিরাপত্তা। আর এর ভিত্তি ধরেই আমরা এগিয়ে চলেছি নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিতের পথে।


শেয়ার করুন