চলতি অর্থবছরে পরিচালন বাজেটের আওতায় থোক বরাদ্দ থেকে যানবাহন ক্রয় ও ভূমি অধিগ্রহণ খাতে সব ধরনের অর্থ ব্যয় বন্ধ করে পরিপত্র জারি করেছে সরকার। পাশাপাশি পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক, অনাবাসিক বা অন্যান্য ভবন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে। তবে চলমান নির্মাণকাজ ন্যূনতম ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর উপসচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সই করা এক পরিপত্রে গত ৮ জুলাই এ তথ্য জানানো হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও ব্যয় সাশ্রয় বা কৃচ্ছ্রসাধন নীতি নিয়েছে সরকারের। এর আওতায় সরকারি খরচে সব ধরনের বৈদেশিক কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেনা যাবে না গাড়ি, জাহাজ ও বিমান। এমনকি পরিচালন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ খরচও বন্ধ রাখতে হবে।
পরিচালন বাজেটে সব ধরনের থোক ব্যয়ও বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় কমানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের। আর গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ পরিপত্র জারি করে এসব নির্দেশনা দিয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলমান সংকোচনমূলক নীতির প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে সব ধরনের বৈদেশিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে।
তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া স্কলারশিপ, ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ যাওয়া যাবে। বাধা থাকবে না অন্যান্য দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণ ও অর্থায়নে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশযাত্রা।
সেই সঙ্গে প্রিশিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) বা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপট্যান্স টেস্টের (এফএটি) আওতায় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি জারি করা পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। তবে একান্ত অপরিহার্য হলে পিএসআই বা এফএটির আওতায় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।
পরিপত্রে সব ধরনের গাড়ি, জাহাজ ও বিমান কেনা বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হলেও পরিচালন বাজেটের আওতায় ১০ বছরের বেশি পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।