গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রকাশ করেছে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কায়রোতে বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে সৌদি আরব, মিশর, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, ট্রাম্পের পদক্ষেপ এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলবে, সংঘাত ছড়িয়ে দেবে এবং শান্তির সম্ভাবনাকে নষ্ট করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, অবৈধ বসতি স্থাপন কার্যক্রম, উচ্ছেদ, জমি দখল বা মালিকদের কাছ থেকে জমি খালি করাটা ফিলিস্তিনিদের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের সঙ্গে আপস করা। আমরা যে কোনোভাবে বা যে কোনো পরিস্থিতিতে এ ধরণের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করছি।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, মিশর ও জর্ডানের উচিত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়া।
ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র মিসর ও জর্ডান বারবার গাজা 'খালি' করার ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। জর্ডানে কয়েক মিলিয়ন এবং মিশরে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আগে থেকেই আছে।
দুই রাষ্ট্র সমাধান
পাঁচ আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা দুই রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি ন্যায়সঙ্গত ও ব্যাপক শান্তি অর্জনে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
তারা আবার সম্প্রদায়কে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের উপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রসহ দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের জন্য ২০২৫ সালের জুনে আসন্ন সৌদি-ফরাসি নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে সমর্থন করেন।
আরব মন্ত্রীরা গাজাকে পুনর্গঠন করতে জাতিসংঘের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে মিশরের পরিকল্পনাকেও স্বাগত জানিয়েছেন। তবে সম্মেলনের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
মন্ত্রীরা গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম পরিচালনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকার উপর জোর দেন। তারা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সহায়তা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে গাজার পুনর্গঠনের জন্য বৈশ্বিক সমন্বয়ের আহ্বান জানান।

