সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সব গুঞ্জন ও গুজব নাকচ করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২ জানুয়ারি (শুক্রবার) দেশজুড়ে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিভ্রান্তি এড়াতে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকেই শুরু হয়েছে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের প্রক্রিয়া।
গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে অধিদপ্তরের ‘হিসাব সহকারী’ পদের পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে স্থগিত করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাও স্থগিত’–এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়। এতে লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অধিদপ্তর জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, হিসাব সহকারী পদের পরীক্ষা স্থগিত হলেও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। ২ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা চলবে।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষার্থীরা admit.dpe.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারছেন। প্রার্থীরা তাদের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে এটি ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরেও এ-সংক্রান্ত এসএমএস পাঠানো শুরু হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য কঠোর নির্দেশনা: পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য দুটি জিনিস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে: ১. ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি। ২. প্রার্থীর নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) মূল কপি।
কেন্দ্রে যা নিষিদ্ধ: অধিদপ্তর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, বই বা নোট তো বটেই–এমনকি সাধারণ হাতঘড়ি, ভ্যানিটি ব্যাগ বা পার্স নিয়েও প্রবেশ করা যাবে না। কোনো প্রার্থীর কাছে এসব সামগ্রী পাওয়া গেলে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে।
সতর্ক থাকার আহ্বান: পরীক্ষার্থীদের কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা জালিয়াতি চক্রের ফাঁদে না পড়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গুজবকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে কেবল দাফতরিক ওয়েবসাইটের তথ্যের ওপর আস্থা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

