২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০৭:১৬:০১ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে অবরোধের অজুহাতে বাজারে আগুন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১১-২০২৩
রাজশাহীতে অবরোধের অজুহাতে বাজারে আগুন

অবরোধের অজুহাতে রাজশাহীতে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ও শনিবার (৪ নভেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা জানা গেছে।


নগরীর সাহেববাজার, নিউমার্কেট, শালবাগান ও নওদাপাড়া বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। এছাড়া এই সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা দেরে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে, আদা ২৪০ টাকা ও রসুন ২০০ টাকা।


সব ধরনের সবজির দামও বেশি। চলতি সপ্তাহে করলা ৬০ টাকা, কচু ৮০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭৫ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, সজনে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ও ফুলকপি ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


সাহেববাজারের বিক্রেতা আকরাম হোসেন বলেন, সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। বেশি দামে কিনতে হয় বলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।


মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল হালিম বলেন, অবরোধের কারণে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।


নগরীর মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে আসা এনামুল হক বলেন, প্রতিদিনই তো দাম বাড়ছে। বিশেষ করে সরকার নির্ধারিত দামে তো কিছুই মিলছে না। পেঁয়াজ, আলু ও ডিম সবকিছুই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজার মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।


এ সপ্তাহে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি। সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। এ সপ্তাহে মুরগির লাল ডিম ৫২ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা।


শেয়ার করুন