৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৬:০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
বিয়ে খেতে এসে পদ্মায় নিখোঁজের ২৩ ঘন্টা পর উদ্ধার হলো দুই শিশুর মরদেহ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৪-২০২৪
বিয়ে খেতে এসে পদ্মায় নিখোঁজের ২৩ ঘন্টা পর উদ্ধার হলো দুই শিশুর মরদেহ

রাজশাহীর বাঘায় বিয়ে খেতে এসে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ ২৩ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর পদ্মা নদী এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


জানা যায়, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চরে আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের ঈদের পরের দিন বিয়ে খেতে আসে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলা বাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে জান্নাতী খাতুন (৯) এবং চুয়াডাঙ্গার জয়দেবপুরের পাটঘাট গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে ঝিলিক খাতুন (১০)। এই বিয়ে খেতে রোববার তারা নিজ নিজ বাড়ি চলে যাবে। এরমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পদ্মা নদীর ধারে বাড়ি হওয়া দুই শিশু গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ দুই শিশুদের উদ্ধারে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ৭ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে সন্ধান করতে পারেনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাদের অভিযান স্থগিত করা হয়। পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে লাশ দুটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করে।


এর আগে রোববার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চর মসজিদের পদ্মা নদীর ঘাটে গোসলে নেমে দুই শিশু নিখোঁজ রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে সন্ধান করতে পারেনি। পরের দিন লাশ দুটি পরিবারের লোকজন ভাসতে দেখে উদ্ধার করে।


এ বিষয়ে মানিকের চরের পলাশ হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে স্বপন আলীর সাথে শনিবার বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়ে খেতে তারা স্বপরিবার নিয়ে ঈদের পরের দিন আমার ভাই এর বাড়িতে আসে। রোববার তারা নিজ নিজ বাড়ি চলে যাবে। এরমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পদ্মা নদীর ধারে বাড়ি হওয়া দুই শিশু গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।


এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়েনের চৌমাদিয়া চরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুর রহমান বলেন, যারা নিখোঁজ তারা বিয়ে খেতে এসেছিল আতœীয়র বাড়িতে। ঘটনার খবর জানা মাত্রই আমরা ফায়ার সার্ভিস এবং চারঘাট নৌ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এলাকাটি দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ঘটনাস্থলে এসে ৭ ঘন্টা অভিযান করেও সন্ধান মেলানো যায়নি। পরের দিন ভাসমান অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়।


এ বিষয়ে চারঘাট নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়াস সার্ভিসের একটি দল কাজ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।


শেয়ার করুন