০৫ মে ২০২৪, রবিবার, ০৪:৩৮:১০ পূর্বাহ্ন
রোজার আগে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা কম
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৩-২০২৪
রোজার আগে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা কম

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোতে চলমান বহুজাতিক আলোচনা থমকে গেছে। ফলে রোজা শুরুর আগে যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, নেই বললেই চলে। মধ্যপ্রাচ্যের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র বিগত মাসখানেক সময় ধরেই রোজার আগে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে চাপ দিয়ে আসছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একাধিকবার রোজার আগে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের সেই আশা ফিকে হয়ে গেছে। 


আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস বারবার স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে জোর দেওয়ার কারণে আলোচনা আপাতত স্থবির হয়ে আছে। এবং এ কারণেই মূলত রোজার আগে যুদ্ধবিরতি শুরুর যে আশা ছিল, তাও ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।


কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, হামাস বেশ কয়েকটি শর্ত দেখিয়ে সাময়িক যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে সরে গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—গোষ্ঠীটি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার চায়, বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীকে নিজ নিজ এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার অনুমতি চায় এবং একই সঙ্গে গাজাবাসীর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যসহায়তা চায়।


কেবল হামাস নয়, গাজায় চলমান যুদ্ধের অপর পক্ষ ইসরায়েলও বেশ কিছু বিষয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে, তিন ধাপে জিম্মি বিনিময়ের বিপরীতে গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার যে প্রস্তাব প্যারিস আলোচনায় দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে।


কাতারে কয়েক দফা আলোচনা শেষে প্যারিসেও বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। পরে সেই আলোচনা চলে যায় মিসরের রাজধানী কায়রোতে। এই আলোচনায় বিভিন্ন পক্ষের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।


সর্বশেষ, হামাসের কাছে থাকা জীবিত জিম্মি ইসরায়েলিদের তালিকা চাইলে গোষ্ঠীটি তা দিতে অস্বীকার করার পর ইসরায়েল কায়রো আলোচনায় প্রতিনিধি পাঠানো বন্ধ করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছে।


প্রতিবেদন অনুসারে, হামাস মূলত বেশ কয়েকটি কারণে এমন সব শর্ত হাজির করেছে। গোষ্ঠীটি মনে করে, রোজায় যুদ্ধবিরতির পর গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে ইসরায়েল কিছু দুর্বল অবস্থানে পড়ে যাবে। এই সূত্র ধরে হামাস এরই মধ্যে রোজার শুরুতে ফিলিস্তিনিদের জেরুসালেম অভিমুখে পদযাত্রা করার আহ্বান জানিয়েছে।


একটি সূত্রের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ‘আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, হামাস বিশ্বাস করে, গাজায় ইসরায়েল কয়েক মাস দীর্ঘ অভিযান চালালেও জেরুসালেম অভিমুখী পদযাত্রা তাদের শক্তি ও সমর্থনের প্রমাণ দেবে, যা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর যুদ্ধ বন্ধে চাপ বাড়াবে।’


শেয়ার করুন