০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ০৮:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন
জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৭-২০২৫
জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমেই জনসমর্থন হারাচ্ছেন। সাম্প্রতিক নীতিমালা, বিশেষ করে শুল্কবিষয়ক সিদ্ধান্তের কারণে দেশের ভেতরেই তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। তবে রিপাবলিকান দলের এই নেতার জনপ্রিয়তা কমলেও, দল হিসেবে এখনো ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে তার দল। এমনই চিত্র উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক জরিপে।


বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও মূল্যস্ফীতির প্রভাব নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, ডেমোক্রেটিক পার্টি সেই অসন্তোষকে নিজেদের পক্ষে টানতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে তৈরি হওয়া এই রাজনৈতিক পরিবেশে ডেমোক্র্যাটদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা এখনো কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।


বিশ্ববাণিজ্যে অংশীদার দেশগুলোর ওপর ট্রাম্প যে নতুন শুল্ক আরোপ করছেন, তার বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে এক দিনের মধ্যেই। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা। আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বাড়লে নাগরিকদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।


সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন হ্রাস পেলেও ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আস্থা দেখাতে পারছেন না অনেক ভোটার। ফলে ভোটাররা দল হিসেবে রিপাবলিকানদেরই বেশি সমর্থন জানাচ্ছেন।


এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে গত তিন দশকের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবার সবচেয়ে খারাপ জনপ্রিয়তা দেখিয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৩ শতাংশ ভোটার ডেমোক্র্যাটদের সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। শুধু ৩৩ শতাংশ ছিলেন ইতিবাচক।


একই ধরনের ফল মিলেছে সিএনএনের জরিপেও। ১৯৯২ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো এত কম নম্বর পেয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের নেতিবাচক ইমেজ থাকা সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোটারদের আস্থা তৈরি না হওয়া দলের জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট ডেকে আনতে পারে।


যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কেবল চারটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। বাকি প্রতিবারেই বিরোধী দল হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এগিয়ে ছিল। এই রেকর্ড মাথায় রেখে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এখনও ডেমোক্র্যাটদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে—তবে সেটা কাজে লাগাতে হলে এখনই জনগণের আস্থা ফেরানোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।


শেয়ার করুন