২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৫:৩৬:২৩ অপরাহ্ন
বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূমি অফিস পরিচালনা করুন: ভূমিমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০২-২০২৪
বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূমি অফিস পরিচালনা করুন: ভূমিমন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র বলেছেন, স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে গতি আনতে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ভূমি অফিসে ভূমিসেবা প্রদানে নিয়োজিত বিভিন্ন পর্যায়ের গণকর্মচারীদের পরিচালনা করার জন্য এসিল্যান্ডদের অনুশাসন দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী।


ভূমিমন্ত্রী আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অনুশাসন দেন।


তেজগাঁওয়ের ভূমি ভবনের কেন্দ্রীয় সেমিনার হলে ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি সচিব খলিলুর রহমান।


কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ডের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কালেক্টরেটের (জেলা প্রশাসন) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) (এডিসি রেভিনিউ) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) ও (এসিল্যান্ড) অংশগ্রহণ করেন। 


কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা রিসোর্স পারসন হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন।


মন্ত্রী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী এডিসি রেভিনিউ ও এসিল্যান্ডদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের আওতায় যারা কাজ করে নাগরিকদের ভূমি সেবা দিচ্ছেন (যেমন- কানুনগো, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার) তাদের কাজে আপনাদের নেতৃত্বের প্রতিফলন হয়। ভূমি অফিসের সেবা প্রদানের গুণমানে ওই দপ্তরের এসিল্যান্ডের নেতৃত্বের প্রতিফলন ঘটে।


ভূমি প্রশাসনে নেতৃত্বে দেওয়ায় এগিয়ে থাকতে হলে ভূমি বিষয়ক আইন-কানুন ও বিধি-বিধানসহ সংশ্লিষ্ট জ্ঞান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্তে থাকতে হবে। এ সময় ভূমি বিষয়ক আইন-কানুন ও বিধি-বিধান নিয়মিত চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ভূমিমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি সেবা প্রদানের মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহবান জানান কর্মকর্তাদের।


দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে গতি আনতে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এ পরিকল্পনার আওতায় বেশকিছু জেলায় অবস্থিত ভূমি অফিসসমূহকে নিবিড় তত্ত্বাবধানে আনা হচ্ছে। ৬৪টি জেলার মধ্যে প্রথমে কয়েকটি জেলা বাছাই করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নিবিড় তত্ত্বাবধানের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ এবং বাকি জেলাগুলোতে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য তা থেকে একটি টেকসই মডেল দাঁড় করানো।


ভূমি সচিব জানান, ভূমি প্রশাসনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা না পেলে সামগ্রিকভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। কেননা প্রতিটি সেক্টরই ভূমির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সময় সচিব জানান- ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান ও ম্যাপ সেবা নিতে বর্তমানে আলাদা আলাদাভাবে সিস্টেমে প্রবেশ করতে হয়। ভূমিসেবা গ্রহীতাদের সুবিধার্থে একবার লগইন করেই যেন এ সেবা গ্রহণ করা যায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 


শেয়ার করুন