২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ১০:১২:৪২ অপরাহ্ন
গাজায় মানবিক করিডর ও যুদ্ধবিরতি চায় ইইউ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১০-২০২৩
গাজায় মানবিক করিডর ও যুদ্ধবিরতি চায় ইইউ

গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়েছেন ইইউ নেতারা। মানবিক কারণে এই যুদ্ধবিরতি দরকার বলে জানিয়েছেন তারা। ইইউ-এর দাবি, গাজায় সাহায্য পাঠানোর জন্য একটি মানবিক করিডর তৈরি করতে হবে। আর এর জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতি দরকার। সে ক্ষেত্রেই কেবল নিরাপদে এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী গাজায় পাঠানো সম্ভব হবে।


বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেছিলেন ইইউ নেতারা। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন আজ শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ত্রাণ সাহায্য নির্বিঘ্নে এবং দ্রুত গাজায় পৌঁছাতে হবে। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, ইইউ শুক্রবার রাফাহ ক্রসিংয়ের মিসরের পাশে আরও দুটি ফ্লাইটে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবে এবং মানবিক সহায়তা তিনগুণ করার অংশ হিসেবে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে ৪০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাক্ষর করবে।


একটি যৌথ ঘোষণায় ইইউ-এর ২৭ জন নেতা গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মানবিক করিডর এবং যুদ্ধবিরতি সহ সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মানবেতর অবস্থায় থাকা গাজাবাসীর কাছে দ্রুত ও নিরাপদে অব্যাহত ত্রাণ সাহায্য পাঠানোর ব্যাপারে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


ইউরো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৫ ঘণ্টার বিতর্ক শেষে এসেছে উরসুলা ফন ডার লেয়েনের এই বিবৃতি। একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন, খুব কমসংখ্যক দেশই ছিল জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পক্ষে।


ইউরোপীয় কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অঞ্চলে তাদের সহযোগী ও বন্ধু দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করা, তাদের সাহায্য করা এবং তারা যাতে খাবার, জল, ওষুধ, বাসস্থান ও জ্বালানি পায় তা নিশ্চিত করতে চায়। এই সাহায্য যেন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাতে না পড়ে, তারা সেটাও দেখবে।


ইইউ-এর বৈঠকে গাজায় সাহায্য পাঠানোর এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দেয়। ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আছে বলে মত দিয়েছে জার্মানি ও হাঙ্গেরি।


গতকাল মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত নিয়ে বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে নিজের দেওয়া বক্তব্যে মহাসচিব গুতেরেস বলেন, হামাস বিনা কারণে ইসরায়েলে হামলা চালায়নি।


হামাস নিয়ে এমন মন্তব্য করার পর দখলদার ইসরায়েলিদের তোপের মুখে পড়েন গুতেরেস। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি তিনি ‘সহানুভূতিশীল’ বলে অভিযোগ তোলে দেশটি। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাদ এরদান তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন।


এমন তোপ ও সমালোচনার মুখে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব গুতেরেস জানিয়েছেন, তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।


এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একে অপরের প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক মানুষের হতাহতের ধারাবাহিকতায় ইতি টানা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদে গতকাল বুধবার যুদ্ধবিরতির দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একে অপরের প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় কোনোটিই পাস করা সম্ভব হয়নি।


শেয়ার করুন