২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০১:৫১:১৮ অপরাহ্ন
হামাসের হামলা নিয়ে মন্তব্য, জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগের দাবি ইসরাইলের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
হামাসের হামলা নিয়ে মন্তব্য, জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগের দাবি ইসরাইলের

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে যে হামলা চালিয়েছিল, তা ‘শূন্য থেকে’ হয়নি বলে মন্তব্য করায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ওপর ক্ষেপেছে ইসরাইল। দেশটি জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি করেছে। এ ছাড়া তার সঙ্গে কোনো বৈঠকে বসবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে।


সম্প্রতি গাজা স্ট্রিপে যুদ্ধবিরতি চেয়ে একটি মন্তব্য করেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। তারই জেরে তার ইস্তফা চাইলেন জাতিসংঘে ইসরাইলের দূত। শুধু তাই নয়, ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন— আপাতত গুতেরেসের সঙ্গে তারা কোনো বৈঠক করবেন না।


মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গুতেরেস বলেন, এ মুহূর্তে এই সংঘাত বন্ধ হওয়া উচিত। গাজা স্ট্রিপে আমরা যা দেখছি, তা থেকে পরিষ্কার যে, সেখানে আন্তর্জাতিক আইন মানা হচ্ছে না। 




এখানেই শেষ করেননি গুতেরেস। বলেছেন, ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে কার্যত পরাধীন হয়ে আছেন। হামাস যে আক্রমণ চালিয়েছে, তা একদিনে তৈরি হয়নি। এই হামাসকে অবশ্য জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপ— সবাই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে।


গুতেরেসের এ মন্তব্যের পর তার কড়া সমালোচনা করেছে ইসরাইল। জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান বলেছেন, শতাধিক মানুষকে যারা খুন করেছে, পুরুষ, নারী, শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি, সেই হামাসকে সমর্থন করেছেন গুতেরেস। জাতিসংঘের প্রধান থাকার আর কোনো অধিকার তার নেই।


ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। এলি কোহেন বলেছেন, ৭ অক্টোবর যারা নির্বিচারে হত্যা করল গুতেরেস কার্যত তাদের সমর্থন করেছেন। তার কথায়, গুতেরেস আপনি কোন বিশ্বে থাকেন জানি না, তবে এটা আমাদের বিশ্ব নয়, এটুকু বলতে পারি। জাতিসংঘের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও বাতিল করেছেন তিনি।


গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে একটি অনুষ্ঠান চত্বরে আক্রমণ চালায় হামাস। প্রায় ২২০ জন বেসামরিক মানুষকে পণবন্দি করেন তারা। তাদের মাত্র সামান্য কয়েকজনকে সম্প্রতি ছেড়েছে হামাস। বাকিরা এখনো বন্দি। পাশাপাশি বহু মানুষকে হত্যাও করে তারা। তারই জেরে পালটা আক্রমণ চালায় ইসরাইল। গাজা স্ট্রিপকে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত করেছে ইসরাইল। সেখানেও প্রচুর বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বস্তুত ইসরাইল জানিয়েছে, হামাসকে সম্পূর্ণ শেষ না করা পর্যন্ত তাদের সংঘাত চলবে।


এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে অনেকেই। সাধারণ মানুষের হত্যা নিয়ে সরব হয়েছে বহু দেশ। গুতেরেসও সেই কথাই বলার চেষ্টা করেছিলেন বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত। 


শেয়ার করুন