২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ০৭:২৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এমটিএফই কেলেঙ্কারি: দায় কার রাজশাহী ও নওগাঁর ২ গ্রামে যাচ্ছে শহরের সুবিধা বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও দেশে বাড়ছে নির্বাচনে বিএনপি আসুক বা না আসুক—বিকল্প রেখে আওয়ামী লীগের ভোটের ছক রাজশাহীতে 'আইসিটি ইন এডুকেশন লিটারেসি ট্রাবলস্যুটিং ও মেইনটেনেন্স 'বিষয়ক ১০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী বেনাপোল কাস্টমসের ১৯ কেজি সোনা চুরি: সাক্ষ্য গ্রহণেই আটকা বিচার ২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিলবোর্ড ব্যানার খুলে ফেলার অভিযোগ এবার সত্যিই মারা গেছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ হিথ স্ট্রিক ১৭ ব্যাংককে ৫০ হাজার কোটির বিশেষ সুবিধা
জলবায়ু নিয়ে দুশ্চিন্তা নয়, বেশি বেশি সন্তান নিন: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৯-২০২৩
জলবায়ু নিয়ে দুশ্চিন্তা নয়, বেশি বেশি সন্তান নিন: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী

ইউরোপের নেতারা জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। অথচ তাঁরা জনসংখ্যা কমে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে পুরোপুরি উপেক্ষা করছেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। তিনি ইউরোপের জনগণের প্রতি জলবায়ু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করে বেশি বেশি সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরি সরকার আয়োজিত দেশটির রাজধানী বুদাপেস্টে দুই দিনব্যাপী জনমিতিক শীর্ষ সম্মেলনে অরবান এই আহ্বান জানান। জনসংখ্যার হার বাড়ানোর চেষ্টায় হাঙ্গেরি বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। তার মধ্যে এই শীর্ষ সম্মেলন উল্লেখযোগ্য। 

অরবান বলেন, ‘পুরো ইউরোপ ভয়ে কাঁপছে এবং এই ভয় আমাদের পরাজিতদের তালিকায় নিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং আমরা এর মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ করছি।’ 

মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের যেসব দেশ জন্মহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে, হাঙ্গেরি সেগুলোর একটি। একটি হিসাব বলছে, ইউরোপের দেশগুলো যদি অভিবাসী ছাড়া তাদের স্বাভাবিক জনসংখ্যা বজায় রাখতে চায়, তবে মহাদেশটির প্রত্যেক নারীকে গড়ে ২ দশমিক ১ জন করে শিশু জন্ম দিতে হবে। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যা হ্রাস এবং বয়স্ক নাগরিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি দেশগুলোতে বয়স্কদের ভাতার বিষয়টি কীভাবে মেটানো হবে সে বিষয় নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন হাজির করেছে দেশগুলোর সামনে।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমা এলিটরা জনমিতির প্রশ্নকে বারবার উপেক্ষা করছেন এবং কার্বন কোটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।’ এ সময় তিনি বেশি বেশি সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তাদের বরং ভীত হওয়া উচিত সামনে যে ধ্বংসযজ্ঞ আসছে, তা থেকে বাঁচতে হলে জনসংখ্যার প্রয়োজন হবে।’

শেয়ার করুন