রাজশাহীর দুর্গাপুরে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে (২৩) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মাসের ২৯ আগস্ট উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের বেড়া উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । এজাহারভুক্ত আসামি হলেন, একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত মাসের ২৯ আগষ্ট দুর্গাপুর উপজেলার বেড়া গ্রামের উত্তরপাড়া মৃত মকবুল হোসেনের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী (২৩) নিজ বাড়িতে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে । ঔদিন সকালে ভিকটিমের মা মেয়েকে বাড়িতে রেখে মানুষের বাড়িতে কাজ করতে যান। বাড়িতে লোকজন না থাকায় মেয়েটিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে ভিকটিম ওই যুবতির চিৎকার করলে লম্পট নাসির পালিয়ে যায়। বিকেলে ভিকটিমের মা কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেন মেয়ে কান্নাকাটি করছে। পরে কান্নাকাটির কারন জানতে জানায় অভিযুক্ত নাসির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে।
এঘটনায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্ধীর মা সাহারবানু বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামালা দায়ের করেন যার মামলা নম্বর-৪ ।
মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা সাহারবানু বলেন, গত মাসের ২৯ আগষ্ট ঘটনার দিন প্রতিবেশী নাছিরউদ্দিন আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে অনেক কান্নাকাটি করেছে। আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষন করা হতে পারে। আমি এঘটনার বিচার চাই। থানায় আমরা বারবার যাচ্ছি, পুলিশ আমাদের সহায়তা না করে উল্টো হয়রানী করছে। তিনি বলেন, ঘটনার সকল বর্ননা দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি । আমার মেয়েকে জোরপুর্বক ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি ।
ভিকটিমের বড়ভাই খোরশেদ আলম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমি ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে লম্পট নাসির আমার প্রতিবন্ধী বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন । আমার বোনের শারীরিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তার সাথে অনৈতিক কোন ঘটনা ঘটেছে । বিষয়টি স্থানীয় প্রভাবশালীদের জানালে তারা বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। পরে বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানান হয়। মামলার ৩দিন পরে কপি পেয়ে জানতে পারি থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা রজু করা হয়েছে । এঘটনার সাথে জড়িত আসামিকে দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করছি।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) নয়ন ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিকটিম ও ভুক্তভোগী পরিবারের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে নেয়া হবে। মামলা দায়েরের পরে আসামি পলাতক রয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
