১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০১:১৫:২০ পূর্বাহ্ন
শীতবস্ত্র নিয়ে শীতার্তদের পাশে দুর্গাপুর থানার ওসি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০১-২০২৩
শীতবস্ত্র নিয়ে শীতার্তদের পাশে দুর্গাপুর থানার ওসি

 শুক্রবার দিনগত রাত। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত প্রায় পৌনে ১২টা। কুয়াশার চাদরে মোড়ানো ওই রাতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন নৈশ প্রহরী (নাইট গার্ড) বাবুল আক্তার। ওই সময় থানা পুলিশের টহল পিকআপ এসে থামে থানা মোড়ে। গাড়ির মধ্যে থেকে বের হলেন রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক। হাতে ছিলো শীতবস্ত্র (কম্বল)। নৈশ্য প্রহরী বাবুল আক্তারকে ডেকে শীতবস্ত্র ধরিয়ে দিলেন তার হাতে।

বললেন, তীব্র ঠান্ডায় দায়িত্ব পালন করতে আপনাদের অনেক কষ্ট হয়। সেই কষ্ট কিছুটা নিবারনের জন্য শীতবস্ত্র পরে দায়িত্ব পালন করবেন। খানিক বাদে প্রেসক্লাব মোড়ে গিয়ে দেখতে পান নৈশ প্রহরী ওসমান আলী ও রফিকুল ইসলামকে। তাদেরকে ডেকেও শীতবস্ত্র (কম্বল) ধরিয়ে দেন ওসি নাজমুল হক।

হীম-শীতল ঠান্ডার মধ্যে রাতের আঁধারে ঘুরে ঘুরে উপজেলা সদর, সিংগা বাজার ও উজালখলসি বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দায়িত্বরত নৈশ প্রহরীদের পাশে গিয়ে শীতবস্ত্র দেন ওসি নাজমুল হক। সাধারণ মানুষের প্রতি মহানুভবতা দেখানো এমন মহৎ কাজে ব্যবসায়ী সমিতি (বণিক), নৈশ প্রহরি সহ সকল মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওসি নাজমুল হক।

ওসি নাজমুল হক বলেন, রাত জেগে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন তারা (নৈশ প্রহরী)। তাদের কারণেই ব্যবসায়ীরা পরিবার পরিজন নিয়ে আরাম করে ঘুমাতে পারেন। অথচ তাদের জন্য নেই তেমন কোন সুযোগ সুবিধা। তারপরও তারা নিজ নিজ দায়িত্বে অটল-অবিচল।

ওসি আরও বলেন, কিছু মানবতার, যা কিছু কল্যাণকর তাই ধর্ম। রাতের কনকনে শীতে তারা আমাদের সাথেই থাকেন। সামর্থ না থাকলেও শীতের কষ্ট নিবারনে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। জয় হোক মানবতার।

শেয়ার করুন