১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ০৫:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন
জোহরান মামদানি, নিউইয়র্কের মেয়র পদে জয়ের পথে ‘ট্রাম্পের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১১-২০২৫
জোহরান মামদানি, নিউইয়র্কের মেয়র পদে জয়ের পথে ‘ট্রাম্পের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’

ডেমোক্র্যাট জোহরান মামদানি নিজেকে ‘ট্রাম্পের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, তিনি নিউইয়র্কের পরবর্তী মেয়র হতে চলেছেন। ৬০.২ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হওয়ার পরই এই সম্ভাব্য জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে।


বিশ্লেষকদের ধারণা, বছরের অন্যতম রঙিন ও আলোচিত এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলাফল শুধু নিউইয়র্ক নয়, বরং সমগ্র মার্কিন জাতীয় রাজনীতিতেও গভীর প্রভাব ফেলবে।


 

মামদানি হতে যাচ্ছেন নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ও প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র। পাশাপাশি গত এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি, যিনি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। 


দুর্নীতি কেলেঙ্কারির পর বর্তমান ডেমোক্র্যাটিক মেয়র এরিক অ্যাডামস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর, দলের মনোনয়নের জন্য নাম লেখান অ্যান্ড্রু কুওমো। যৌন হয়রানির অভিযোগের মুখে ২০২১ সালে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর কুওমো তার ক্যারিয়ার ফের গোছানোর চেষ্টা করছিলেন।


তবে অপ্রত্যাশিতভাবে, প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট এবং প্রবাসী পটভূমি থেকে উঠে আসা জোহরান মামদানি দলের মনোনয়ন পান এবং দ্রুতই মেয়র পদের জন্য শীর্ষ পছন্দে পরিণত হন। এরপর কুওমো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন।


নির্বাচনের প্রাক্কালে ট্রাম্প বলেছিলেন, মামদানি শহরে ‘বিপর্যয়’ ডেকে আনবেন। মামদানি বামপন্থী নীতি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের মতো বিষয়গুলোতে প্রচারণা চালিয়েছেন।


তিনি ভোটে পিছিয়ে থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ার সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন যেন তারা তাদের ভোট কুওমোর পক্ষে স্থানান্তর করেন।

মঙ্গলবারের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন ছিল চারটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের একটি। এদিকে ডেমোক্র্যাট অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গার ও মিকি শেরিল যথাক্রমে ভার্জিনিয়া এবং নিউ জার্সির গভর্নর নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।




শেয়ার করুন