০৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ০৪:০০:১০ অপরাহ্ন
আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, হতাহতের আশঙ্কা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১১-২০২৫
আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, হতাহতের আশঙ্কা

উত্তর আফগানিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম শহর বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের কাছে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১টার দিকে (২০:৩০ জিএমটি) সংঘটিত এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩ এবং এর গভীরতা ছিল প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল)। খবর বিবিসির।


যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সতর্ক করে বলেছে, এই ভূমিকম্পে ‘বড় ধরনের প্রাণহানি’ ও ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির’ আশঙ্কা রয়েছে।


বালখ প্রদেশের তালেবান মুখপাত্র এক্স-এ লিখেছেন, শলগারা জেলায় অন্তত চারজন নিহত এবং ‘অনেক মানুষ আহত’ হয়েছেন। তবে বিবিসি এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।


এর আগে হাজি জায়েদ নামে ওই কর্মকর্তা এক পোস্টে জানান, ‘প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সামান্য আহত ও হালকা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। আর বেশিরভাগ আঘাতের কারণ হলো মানুষ আতঙ্কে উঁচু ভবন থেকে পড়ে যাওয়া।


এএফপি জানিয়েছে, প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস মাজার-ই-শরিফে। ভূমিকম্পের সময় বহু বাসিন্দা আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় ছুটে আসে, কারণ তারা আশঙ্কা করছিল যে ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে।


বালখের তালেবান মুখপাত্র এক্স-এ আরো একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা যায় শহরের ঐতিহাসিক নীল মসজিদের চত্বর জুড়ে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে।


এই ধর্মীয় স্থাপনাটিকে প্রথম শিয়া ইমামের সমাধিস্থল বলে মনে করা হয়।


এটি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে প্রতি বছর বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ নামাজ আদায় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে আসে।

কাবুল পুলিশের তালেবান মুখপাত্র খালিদ জাদরান এক্স-এ লিখেছেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’


উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তানের পার্বত্য পূর্বাঞ্চলে ৬.০ মাত্রার এক ভূমিকম্পে এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।


সে সময় ভূমিকম্পটি এতটা প্রাণঘাতী হয়েছিল কারণ ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িই কাদামাটি ও কাঠ দিয়ে নির্মিত ছিল, যা ধসে পড়ে বহু মানুষ ঘরের ভেতর আটকে পড়েছিল। আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ, কারণ এটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত।


শেয়ার করুন