১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০১:৪২:১৫ অপরাহ্ন
ইসরাইলি হামলার দুদিন পরেই ট্রাম্পের নৈশভোজে কাতারি প্রধানমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৯-২০২৫
ইসরাইলি হামলার দুদিন পরেই ট্রাম্পের নৈশভোজে কাতারি প্রধানমন্ত্রী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে নৈশভোজ করেছেন। ট্রাম্প ও আল-থানির সঙ্গে এ নৈশভোজে যোগ দেন ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।  খবর রয়টার্সের। 


শুক্রবারের (১২ সেপ্টেম্বর) এ নৈশভোজের মাত্র দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরম মিত্র ইসরাইল দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। 


গত ৯ সেপ্টেম্বর গাজায় মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সময় কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি অফিস ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।


ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা।


ইসরাইলের ওই হামলার পর গাজা যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ওই হামলা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও প্রায় দুই বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আলোচনাকে বিপর্যস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। এ হামলার পর ট্রাম্প ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং কাতারকে আশ্বস্ত করেন যে এমন হামলা আর হবে না।


এমন পরিস্থিতিতেই নিউইয়র্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে নৈশভোজ করেছেন ট্রাম্প।  


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কাতারের উপমিশন প্রধান হামাহ আল-মুফতাহ লেখেন, ‘প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দুর্দান্ত নৈশভোজ। এখনই শেষ হলো। ‘


হোয়াইট হাউস নৈশভোজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, তবে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।


নৈশভোজের আগে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে আল-থানি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ইসরাইলের দোহায় হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারের ভবিষ্যৎ ভূমিকা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। 


এর আগে ট্রাম্প জানান, তিনি ইসরাইলের এ হামলায় সন্তষ্ট নন।  এছাড়াও তিনি এটিকে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দেন। 


ওয়াশিংটন কাতারকে উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী মিত্র হিসেবে গণ্য করে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা আলোচনায় কাতার প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে।


গত মঙ্গলবার আল-থানি ইসরাইলকে শান্তির সম্ভাবনা নষ্টের চেষ্টা করার জন্য দায়ী করেন। তবে তিনি বলেন, কাতারকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তার ভূমিকা থেকে কোনোভাবেই সরানো যাবে না।


শেয়ার করুন