৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৪৮:১৩ পূর্বাহ্ন
তুমব্রু সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ: এক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ, দ্বিকবিদিক ছুটছে মানুষ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০২-২০২৪
তুমব্রু সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ: এক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ, দ্বিকবিদিক ছুটছে মানুষ

মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে ভয়াবহ পরিস্থিত বিরাজ করছে। বিদ্রোহী আরকান বাহিনী ও বিদ্রোহী আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) সশস্ত্র গোষ্ঠী দুদিন হলো ক্যাম্পে থাকা জান্তা সরকারের সেনাদের সঙ্গে লড়ছে। চলছে মুহুর্মুহু গোলাগুলি। যার ফলে আতঙ্কে দিন পার করছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দারা। 


তুমব্রুতে গোলাগুলিতে বাংলাদেশের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি হলেন স্থানীয় তুমব্রু বাজার পাড়ার প্রবিন্দ্র ধর (৬০)। 


মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখল করতে আজ রোববার ভোর ৪টা থেকে মর্টারশেল ও ভারী অস্ত্রের গোলা ছুটছে পরস্পরকে। গুলি এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। তুমুল সংঘর্ষে ঘুমধুম ইউনিয়নের মানুষ দ্বিকবিদিক ছুটছে। যাদের বাড়ি ঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো তারা দরজা-জানালা বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে রাত কাটিয়েছে। 


হামিদুল হক নামের এক প্রধান শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘর সংসার ফেলে কোথাও যাওয়াও যাচ্ছে না। আবার বাড়িতেও নিরাপদ না। ভয়ে-আতঙ্কে পরিবারের ছোটরা কান্না করছে।’ 


তুমব্রু রাইট ক্যাম্পের মাত্র দেড় শ গজ অদূরে তুমব্রু বাজার। এ বাজারের ব্যবসায়ী শফিক আহমদ, আবুল হোসেন আলী আকবর ও গুরা মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাঝখানে তুমব্রু বাজার। পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে বিদ্রোহী আরকান (এএ), পশ্চিম ও উত্তর দিকে আরএসও ঘিরে রেখেছে ক্যাম্পটি। তারা (বিদ্রোহী) যে কোনো মূল্যে তুমব্রু রাইট ক্যাম্পটি দখল করে নিতে চায়। 


স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, রাইট ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ নিতে জান্তা সরকারের সেনাদের লক্ষ্য করে রাতভর মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে বিদ্রোহীরা। ঘিরে ফেলছে রাইট সেনা ক্যাম্পটি। সেনারা পালাচ্ছে বলেও শুনেছি। বাংলাদেশের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি হলেন স্থানীয় তুমব্রু বাজার পাড়ার প্রবিন্দ্র ধর (৬০)। 


এ সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের অন্তত ছোট-বড় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অঘোষিত বন্ধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান। তিনটি নুরানি স্তরের প্রতিষ্ঠান। 


নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা জানান, অবস্থার কথা শুনে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অঘোষিতভাবে। 


বন্ধ স্কুলগুলো হল ভাজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশফাঁড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 


এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়কের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বিজিবি অধিনায়ক তাঁর মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।


শেয়ার করুন