২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৫:১৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার : আইএমএফ-এডিবির ঋণ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১২-২০২৩
রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার : আইএমএফ-এডিবির ঋণ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের কিস্তি হাতে পাওয়ার পর বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে গ্রস হিসাবে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে আইএমএফর নির্ধারিত বিপিএম সিক্স পদ্ধতির হিসেবে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক গতকাল রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।

গত ৭ ডিসেম্বর বিপিএম সিক্স পদ্ধতির গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার ছিল। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দেয়া ঋণের ৪০ কোটি ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যোগ হয়।

বৈশ্বিক কারণে চাপে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি গত দেড় বছর ধরেই নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার সহায়তা দিয়ে চলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তাতে করে ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়। ২০২১ সালের আগস্টে যেখানে রিজার্ভে ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, গত নভেম্বরে তা ১৯ বিলিয়নে নেমে যায়।

এদিকে, আইএমএফর সঙ্গে ঋণ চুক্তির শর্ত হিসেবে আর্থিক ও রাজস্ব খাতে সংস্কারের পাশাপাশি ভর্তুকি কমিয়ে জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পথে হাঁটার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে বাংলাদেশ। রয়েছে বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ৯ শতাংশ সুদহার তুলে দেয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম সিক্স পদ্ধতিতে করা, মুদ্রানীতি আধুনিকায়ন করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ; যেগুলোর অনেকখানি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ। তবে শর্ত অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিজার্ভের পরিমাণ বিপিএম সিক্স পদ্ধতিতে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা যায়নি। যে পরিমাণ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোনো সময় চাহিদা মতো ব্যবহার করতে পারবে, আইএমএফর হিসাবে সেটা হল প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ। গ্রস রিজার্ভ থেকে সব ধরনের দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভ হিসাব করতে হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় বর্তমানে ৫০ মিলিয়ন ডলার, আইএমএফর ঋণ রয়েছে গত জুন পর্যন্ত তিন দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ব্যাংকগুলোর বিদেশি মুদ্রা ক্লিয়ারিং (এফসি) হিসাবে লেনদেন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে এক বিলিয়ন ডলার। এসব দায় বাদ দিয়ে হিসাব করতে বলেছে আইএমএফ।


শেয়ার করুন