০১ মে ২০২৪, বুধবার, ০৪:৪৮:২৭ পূর্বাহ্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনশেষ দিনে ৩৪৭ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, টিকে রইলেন ১৮৯৬ প্রার্থী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১২-২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনশেষ দিনে ৩৪৭ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, টিকে রইলেন ১৮৯৬ প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৩৪৭ জন প্রার্থী। তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে রইলেন এক হাজার ৮৯৬ জন। এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৭টি রাজনৈতিক দল। 


আজ রোববার রাতে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। 


জাহাংগীর আলম বলেন, ‘ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ। আমাদের ৬৪টি জেলার সম্মানিত রিটার্নিং অফিসার এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর আসনগুলোর রিটার্নিং অফিসার থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী মোট মনোনয়ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭১৬ জন, বাছাইয়ে বাতিল হয়েছিল ৭৩১ জন, আপিল দায়ের করেছিল ৫৬০টি এবং আপিল মঞ্জুর হয়েছিল ২৮৬টি ও আপিল নামঞ্জুর হয়েছিল ২৭৪টি। আজকে সারা দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে ৩৪৭টি, স্থগিত আছে ৫টি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে এখন মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯৬টি।’ 


তিনি বলেন, এখন মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ২৮টি রাজনৈতিক দলের থেকে একটি দল অর্থাৎ গণতন্ত্রী পার্টি বাদ গিয়েছে। সব প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান সচিব। কোনো দলের কতজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে সেই সংখ্যা জানাতে পারেননি ইসি সচিব। 


আগামীকাল সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা। প্রার্থীরা প্রতীক পেয়েই প্রচারণা শুরু করবেন। প্রার্থীদের প্রচার চালানোর সুবিধার্থে এদিন থেকে ভোটবিরোধী সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসি। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। 


নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, মাইকে প্রচার হতে হবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা মধ্যে। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার নিষিদ্ধ। প্রচারণায় সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সকল সুবিধা ত্যাগ করে প্রচার কাজে অংশ নিতে হবে। কোনো ডাক বাংলা ব্যবহার, সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ প্রটোকলও ছাড়তে হবে। এছাড়া সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবে না।


শেয়ার করুন