২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৫:০৪:১২ অপরাহ্ন
প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে ইসির পরিপত্র জারি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-১১-২০২৩
প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে ইসির পরিপত্র জারি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, অযোগ্যতা ও নির্বাচনের শর্তাবলি উল্লেখ করে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিপত্রটি জারি করা হয়। এ ছাড়া মন্ত্রী-এমপিসহ প্রার্থীদের আচরণবিধি পালনের বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তফসিল ঘোষণা হওয়ায় এখন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।


নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনে সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে- নির্বাচনকালীন কোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সেখানে বলে দেওয়া আছে- জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ কয়েকজন এবং তাদের অধস্তনদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। তবে কমিশনের আওতায় চলে আসবে, অধীন আসবে- এ কথাটি কিন্তু আইনে বলা নেই।


জাহাংগীর আলম বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে যদি বদলি বা পদোন্নতি করা হয়ে থাকে, সেটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আইনে যে পদমর্যাদার কথা বলা আছে, সেই পদমর্যাদার বদলির প্রস্তাব যদি কমিশনে আসে কমিশন অনাপত্তি জ্ঞাপন করতে পারে, আপত্তিও জ্ঞাপন করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব কমিশনে যায়নি বলে জানান তিনি।


তফসিলের পর মন্ত্রী-এমপিদের কার্যক্রম কী হবে, জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্ট বলা হয়েছে- নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচনী পদপ্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮, অনুসরণ করতে হবে।


মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার নিয়ে কোনো পরিপত্র জারি হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু এটা আইনে আছে, সেহেতু প্রয়োজন নেই। প্রটেকশন হল নিরাপত্তা, আর প্রটোকল হল যিনি যে পদে যাবেন, সে পদ অনুযায়ী তিনি যতটুকু সম্মান পাবেন সেটা। ইসি সচিব জানান, প্রার্থী হতে স্থানীয় সরকারের মেয়র বা চেয়ারম্যানকে আগে পদত্যাগ করতে হবে।


আগাম প্রচারণার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন যেদিন হবে, তার ২১ দিনের আগে কখনই প্রচার করা যাবে না। যেহেতু ৭ জানুয়ারি ভোট হবে, সেই হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার আগে থেকে প্রতীক বরাদ্দের দিন পর্যন্ত, এই সময়ে প্রচার চালাতে হবে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি, তারা তাদের মতো উদ্যোগ নেবেন।


শেয়ার করুন