০৪ মে ২০২৪, শনিবার, ০৯:০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
কৃষিপণ্যের উৎপাদন-দাম দুটোই বেড়েছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১০-২০২৩
কৃষিপণ্যের উৎপাদন-দাম দুটোই বেড়েছে

দেশে গত ১৫ বছরে চাল, গম, ভুট্টা, আলু, ডাল ও সবজির উৎপাদন অনেকটাই বেড়েছে। তবে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও। কোভিড মহামারি এবং  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে সে তুলনায় দেশে দাম বেড়েছে আরও বেশি।


কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশে খাদ্যশস্য (চাল, গম ও ভুট্টা) উৎপাদনের মোট পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার টনে। ১৫ বছরের ব্যবধানে উৎপাদন হচ্ছে ভুট্টা প্রায় ৯ গুণ, আলু দ্বিগুণ, ডাল ৪ গুণ, তেলবীজ আড়াই গুণ ও সবজি ৮ গুণ।


উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করলেও বাড়তি দামের কারণে ভোক্তাদের কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে, দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট অনেক বেড়েছে। ২০০৯ সালে দেশে সরু চালের দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৫-৩৭ টাকা। বর্তমানে তা ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা। বর্তমানে তা ৮০-১০০ টাকা। এভাবে প্রতিটি পণ্যের দামই বাড়তি।


এমন পরিস্থিতিতে আজ ১৬ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হবে।


কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশ। ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে গম উৎপাদন ছিল ৮ লাখ ৪৯ হাজার টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে হয় ১১ লাখ ৭০ হাজার টন। ভুট্টা ছিল ৭ লাখ টন, এখন ৬৪ লাখ টন। আলু ৫ লাখ টন থেকে বেড়ে ১ কোটি ৪ লাখ টন, সবজি ৩০ লাখ টন থেকে বেড়ে ২ কোটি ২০ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।


সরকারের দাবি, গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানোয় নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতাসহিষ্ণু নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রবর্তনের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে। পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করায় ফসল উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। তবে ক্যাব বলছে, দেশে পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সে হারে মানুষের আয় বাড়েনি। 


শেয়ার করুন