২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৩৯:০৯ পূর্বাহ্ন
শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না : কৃষক লীগের রক্তদান কর্মসূচি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৮-২০২৩
শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না : কৃষক লীগের রক্তদান কর্মসূচি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না। পালিয়ে যায়ওনি কখনো। বরং আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য দেশবাসীর জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন। ‘আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না’- বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। অনুষ্ঠানে অন্যদের বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

বিএনপির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিরোধী দল, যদিও তারা সংসদে নাই, বলে-আমরা নাকি পালাবার কোনো পথ খুঁজে পাব না। তারা হুমকি দিচ্ছে। যিনি এই ভাষণ দিয়েছেন-তাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, পালিয়ে যায়নি কখনো’। ১/১১ সরকারের সময় দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এখন তারা, যাদের দলের নেতা একজন দণ্ডিত, তারা বড় বড় কথা বলছে। আপনারা (বিএনপি নেতারা) তো ইতোমধ্যেই পলাতক রয়েছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির অধীনে তারা কীভাবে এত বড় কথা বলতে পারে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমি বিদেশে ছিলাম। তারা (১/১১ সরকার) আমি দেশে ফিরি, তা চায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে আসতে দেয়নি। সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সকে আমাকে নিয়ে ঢাকায় না নামতে বলা হয়েছিল। ঢাকায় তাদের অবতরণ করতে দেয়া হয়নি। এমন নির্দেশনা দেয়ার পর হুমকি ও কঠোর বাধা সত্ত্বেও আমি জোর করে বাংলাদেশে ফিরে আসি।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমার দলের নেতাকর্মীদের হুমকি দেয়া হয়েছিল যে, যারা বিমানবন্দরে যাবে-তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীরা তাতে কর্ণপাত করেনি বরং সমস্ত রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমি যখন ঢাকায় অবতরন করি তখন হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিল।

রক্তদান কর্মসূচির শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে শোকের মাস উপলক্ষে কেআইবিতে রক্তদান অভিযানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

আলোর মিছিল ও মোমবাতি প্রজ্বালন : শোকের মাসের প্রথম প্রহরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল ও মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। গত সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানের নেতৃত্বে আলোর মিছিল বের করা হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগের হাজারো নেতাকর্মী হাতে মোমবাতি নিয়ে জড়ো হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটির সামনে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে


শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের নেতারা। পরে মোমবাতি প্রজ¦ালন করা হয়। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাইদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, আলোক প্রজ্জ্বালন করেছে ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মোমবাতি প্রজ¦ালন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন