১১ মে ২০২৪, শনিবার, ০২:৩৫:১৯ অপরাহ্ন
তারেক-জোবাইদার মামলার রায় ঘোষণা বিকেল ৩ টায়
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৮-২০২৩
তারেক-জোবাইদার মামলার রায় ঘোষণা বিকেল ৩ টায়

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ বুধবার বিকেল ৩টায়। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করবেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


গত ২৭ জুলাই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ বিপি মোশারফ হোসেন কাজল শুনানি শেষ করেন। এরপর আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।


বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক শুনানিতে দাবি করেন, জোবাইদা রহমান ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীগণ অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন পিপি।


উল্লেখ্য এই মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আর সম্পদের তথ্য অর্জন ও গোপনে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমাণ হলে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। 


তারেক ও জোবাইদা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না।


গত ২১ মে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক ড. মো. জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।


এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।


মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তাঁর মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়িকে মামলা থেকে হাইকোর্ট অব্যাহতি দেন। 


নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার: রায় ঘোষণার কারণে আদালতে নিরাপত্তার ব্যবস্থার জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই আদালতের প্রবেশ পথ এবং আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 


ঢাকার উপ পুলিশ কমিশনার প্রসিকিউশন মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


শেয়ার করুন