২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৪:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনি প্রশাসন সাজাচ্ছে সরকার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১১-২০২৫
নির্বাচনি প্রশাসন সাজাচ্ছে সরকার

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাঠ প্রশাসন সাজাতে শুরু করেছে সরকার। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার এক দিনেই রেকর্ডসংখ্যক পদোন্নতি ও বদলির ঘটনা ঘটেছে। লটারিতে ৬৪ জেলায় পুলিশ সুপারকে (এসপি) পদায়ন করা হয়েছে। থানার ওসিদের পদায়নও লটারিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এদিকে একই সঙ্গে ৩৩ জন অতিরিক্ত ডিআইজিকে ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পদায়ন করা হয়েছে ১৬৬ জন ইউএনওকে। একইভাবে নিম্ন আদালতের ৮২৬ জন বিচারককে পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ জনকে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ মাসেই তিন ধাপে ৫২টি জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পদায়ন করা হয়েছে।


আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে জেলাগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করার পর পুলিশ সুপার পদে পদায়নে লটারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এসপি পদে পদায়নে প্রথমে মেধাবী কর্মকর্তাদের বেছে নেওয়া হয়েছে, মেধাবীরা কেউ বাদ পড়েননি। কে কোন জেলায় যাবেন তা নির্ধারণে লটারি করা হয়েছে। এসপি নিয়োগে লটারির ক্ষেত্রেও তিনটি ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এ, বি ও সি ক্যাটাগরি। এটা জেলার আয়তনের ভিত্তিতে করা হয়নি, করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। ওসিদের পদায়নও লটারির মাধ্যমে হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ’।


৬৪ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার পদায়নে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারের মধ্যে চার জন রয়েছেন নারী কর্মকর্তা। এরা হবিগঞ্জ, শরীয়তপুর, জয়পুরহাট ও বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রজ্ঞাপনে মানিকগঞ্জের এসপি মোছা. ইয়াছমিন খাতুনকে হবিগঞ্জে, যশোরের এসপি রওনক জাহানকে শরীয়তপুরে, মাগুরার এসপি মিনা মাহমুদাকে জয়পুরহাটে এবং রাজশাহীর এসপি ফারজানা ইসলামকে বরিশাল জেলায় পদায়ন করা হয়েছে।


কে কোন জেলার এসপি হলেন? :গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় লটারি করে এসপি নির্বাচন করা হয়। লটারির সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা বিভাগ: দিনাজপুরের এসপি হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত মো. মিজানুর রহমানকে ঢাকা জেলার এসপি, ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি মো. হাবীবুল্লাহকে গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের এসপি মুহম্মদ শামসুল আলম সরকারকে টাঙ্গাইল, নরসিংদীর এসপি মো. মেনহাজুল আলমকে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুরের এসপি মো. নজরুল ইসলামকে ফরিদপুর, পঞ্চগড়ের এসপি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সীকে নারায়ণগঞ্জ, রাঙ্গামাটির এসপি এস এম ফরহাদ হোসেনকে কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালীর এসপি মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুককে নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি এহতেশামুল হককে মাদারীপুর, ঝিনাইদহের এসপি মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদকে রাজবাড়ী, যশোরের এসপি রওনক জাহানকে শরীয়তপুর, বরিশালের এসপি মো. শরিফ উদ্দীনকে গাজীপুর ও গাইবান্ধার এসপি মোহাম্মদ সারওয়ার আলমকে মানিকগঞ্জ জেলার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


চট্টগ্রাম বিভাগ: কুমিল্লার এসপি মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁনকে চট্টগ্রাম, চাঁদপুরের এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিবকে রাঙ্গামাটি, ঢাকা জেলার এসপি মো. আনিসুজ্জামানকে কুমিল্লা, ডিএমপির ডিসি (পুলিশ অধিদপ্তরে এআইজি হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত) মো. শফিকুল ইসলামকে ফেনীর এসপি, নেত্রকোনার এসপি মির্জা সায়েম মাহমুদকে খাগড়াছড়ি, গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার মো. রবিউল হাসানকে চাঁদপুর, ডিএমপির ডিসি শাহ মো. আব্দুর রউফকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি, খুলনার এসপি টি এম মোশাররফ হোসেনকে নোয়াখালী, পিবিআইয়ের এসপি মো. আব্দুর রহমানকে বান্দরবান, পাবনার এসপি আদেশপ্রাপ্ত এ এন এম সাজেদুর রহমানকে কক্সবাজার ও সিআইডির এসপি মো. আবু তারেককে লক্ষ্মীপুর জেলার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


রাজশাহী বিভাগ: মাদারীপুরের এসপি মোহাম্মদ নাঈমুল হাছানকে রাজশাহী, নাটোরের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামকে নওগাঁ, জয়পুরহাটের এসপি মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাবকে নাটোর, পিবিআইয়ের এসপি মো. শাহাদাত হোসেনকে বগুড়া জেলার এসপি, চট্টগ্রামের এসপি মো. সাইফুল ইসলাম সানতুকে সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জের এসপি গৌতম কুমার বিশ্বাসকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাগুরার এসপি মিনা মাহমুদাকে জয়পুরহাট ও পটুয়াখালীর এসপি মো. আনোয়ার জাহিদকে পাবনা জেলার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


খুলনা বিভাগ: সিলেটের এসপি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে খুলনা, কিশোরগঞ্জের এসপি মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জের এসপি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে কুষ্টিয়া, জামালপুরের এসপি সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে যশোর, খাগড়াছড়ির এসপি মো. আরেফিন জুয়েলকে সাতক্ষীরা, ফেনীর এসপি মো. হাবিবুর রহমানকে মাগুরা, বগুড়ার ৪ এপিবিএনের এসপি মো. মাহফুজ আফজালকে ঝিনাইদহের এসপি, ঝালকাঠির এসপি উজ্জ্বল কুমার রায়কে মেহেরপুর, সাতক্ষীরার এসপি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা ও বরগুনার এসপি মোহাম্মদ আল মামুন শিকদারকে নড়াইল জেলার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


বরিশাল বিভাগ: রাজশাহীর এসপি ফারজানা ইসলামকে বরিশাল, পিবিআইয়ের এসপি মো. আবু ইউসুফকে পটুয়াখালী, বান্দরবানের এসপি মো. শহিদুল্লাহ কাওছারকে ভোলা, গোপালগঞ্জের এসপি মো. মিজানুর রহমানকে ঝালকাঠি, মেহেরপুরের এসপি মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকীকে পিরোজপুর ও পিবিআইয়ের এসপি মো. কুদরত ই খুদাকে বরগুনা জেলার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


সিলেট বিভাগ: ময়মনসিংহের এসপি কাজী আখতার উল আলমকে সিলেট, মানিকগঞ্জের এসপি মোছা. ইয়াছমিন খাতুনকে হবিগঞ্জ, পিবিআইয়ের এসপি আবু বসার মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে সুনামগঞ্জ ও নীলফামারীর এসপি মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনকে মৌলভীবাজার জেলার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


রংপুর বিভাগ: ফরিদপুর জেলার এসপি মো. মারুফাত হুসাইনকে রংপুর, বাগেরহাটের এসপি মো. আসাদুজ্জামানকে লালমনিরহাট, নড়াইলের এসপির মো. রবিউল ইসলামকে পঞ্চগড়, বগুড়ার ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের এসপি মো. বেলাল হোসেনকে ঠাকুরগাঁও, বগুড়ার এসপি মো. জেদান আল মুসাকে দিনাজপুর, এসপিবিএনের এসপি মো. জসিম উদ্দীনকে গাইবান্ধা, ডিএমপির ডিসি খন্দকার ফজলে রাব্বিকে কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁওয়ের এসপি শেখ জাহিদুল ইসলামকে নীলফামারী জেলার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


ময়মনসিংহ বিভাগ: টাঙ্গাইলের এসপি মো. মিজানুর রহমানকে ময়মনসিংহ, গাজীপুরের এসপি ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে জামালপুর, রাজবাড়ীর এসপি মো. কামরুল ইসলামকে শেরপুর ও লালমনিরহাটের এসপি মো. তরিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা জেলার এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার পুলিশ সুপার নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথমে অতীতে এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এরপর পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি ফিট লিস্ট প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচন করা হয়।


পরিবর্তন এসেছে ৫২টি জেলার ডিসি : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ৫২টি জেলায় জেলা প্রশাসক পদে পরিবর্তন এনেছে। আবার বদলি না হলে এই ডিসিদেরই আসন্ন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আগেই জানিয়েছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তিনটি নির্বাচনে যারা ন্যূনতম সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কর্মকর্তাদের আগামী নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না।


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৯ নভেম্বর রাতে ১৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলে সামাজিক মাধ্যমে ‘রাতের ডিসি’ আলোচনা সামনে উঠে আসে। কারণ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন গভীর রাতে জারি করা হয়েছে। এর আগের দিন শনিবার আরো ১৫টি জেলায় ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। এর পরের বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরো ২৩টি জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগের কথা জানায় সরকার। এর মধ্যে কয়েকটি জেলায় ডিসিদের পরিবর্তন করা হয়, আর বাকিগুলোতে নতুন কর্মকর্তারাই ডিসি হিসেবে নিয়োগ পান। এসব প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অর্থনীতি ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারে যুক্ত হওয়া বেশ কিছু কর্মকর্তা ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যাদের মাঠ প্রশাসনে ও নির্বাচনি কাজের যুক্ত থাকার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।


ডিআইজি হলেন ৩৩ পুলিশ কর্মকর্তা :পুলিশের ৩৩ কর্মকর্তাকে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একটি প্রজ্ঞাপনে ৩১ জনকে এবং আরেকটিতে দুই জনকে পদোন্নতি দেওয়ার তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহাবুবুর রহমান প্রজ্ঞাপন দুটিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে বলা হয়, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে কার্যকর হবে।


১৬৬ উপজেলায় নতুন ইউএনও :এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে রদবদল আনল সরকার। গতকাল প্রথম ধাপে ১৬৬ উপজেলায় সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নতুন ইউএনও নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আটটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ইউএনওদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


ঢাকা বিভাগের ২৯ উপজেলায়, বরিশাল বিভাগের ২১ উপজেলায়, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৯ উপজেলায়, খুলনা বিভাগের ২১ উপজেলায়, রংপুর বিভাগের ২৪ উপজেলায়, রাজশাহী বিভাগের ১৩ উপজেলায়, সিলেট বিভাগের ১৪ উপজেলায় এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১৫ উপজেলায় নতুন ইউএনও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ন্যস্ত করা কর্মকর্তাদের তাদের নিজ অধিক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ‌‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর সেকশন-১৪৪ এর ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।


নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করবেন, অন্যথায় আগামী ৩০ নভেম্বর বিকালে বর্তমান কর্মস্থল (প্রশিক্ষণ/কর্মস্থল) থেকে তাত্ক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।’


নিম্ন আদালতের ৮২৬ বিচারককে পদোন্নতি, বদলি: নিম্ন আদালতের তিনটি পদে দায়িত্বরত ৮২৬ জন বিচারক পদোন্নতি পেয়েছেন। গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে একযোগে পৃথক আদেশে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। পদোন্নতি দিয়ে এসব বিচারককে নতুন কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ২৫০ জন। এছাড়া যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ করা হয়েছে ২৯৪ জনকে এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ২৮২ জন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে জুডিশিয়াল সার্ভিসের এসব বিচারককে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।


পদোন্নতি ও বদলির পৃথক আদেশে সংশ্লিষ্ট বিচারকদের আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে দপ্তর প্রধান মনোনীত ব্যক্তির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলি হওয়া কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। আর প্রশিক্ষণ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও দেশের বাইরে ছুটিতে থাকা ব্যক্তিদের ছুটি শেষে আগের কর্মস্থলে যোগদান করে দায়িত্ব হস্তান্তর করে পদোন্নতির পর বদলি করা নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। পৃথক প্রজ্ঞাপনে আরো বিচারককে নতুন দায়িত্ব দিয়ে নতুন কর্মস্থলে পাঠানো হয়েছে।


শেয়ার করুন