১২ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ০২:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন
১৩ নভেম্বর ঘিরে শক্ত অবস্থানের জন্য প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১১-২০২৫
১৩ নভেম্বর ঘিরে শক্ত অবস্থানের জন্য প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ১৩ নভেম্বর ঘিরে শক্ত অবস্থানের জন্য আমাদের প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। কেপিআইগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া যেখানে-সেখানে খোলা তেল বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী ১৩ তারিখ ঘিরে আমাদের কার্যক্রম চলছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই আমাদের পুলিশকে সবাই সেটা জানান।



জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি মোটামুটি সন্তোষজনক। প্রস্তুতি শেষ হলে আমরা একটা মহড়াও দেব।

তিনি বলেন, সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন। আগামী ১৩ নভেম্বর ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তারা যেহেতু শক্ত অবস্থানে থাকবে সেহেতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। কোনো ধরনের কোনো আশঙ্কা নেই।



উপদেষ্টা বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আপনারা অনেক সময় বলেন অনেক সন্ত্রাসী খুব তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যায়, তারা যেন সহজে জামিন না পায় সে ব্যাপার অনুরোধ করব। সন্ত্রাসীদের যেন জামিন না দেয়।

‘বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার একটা প্রক্রিয়া চলছিল আমাদের। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি আলোচনা করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতি সন্তোষজনক। সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসছে। এটা কিছুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর আমরা একটা মহড়াও দেব।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের যে কাজ চলমান রয়েছে, সেটা আরও বেগবান করা হবে। এখনো কিছু কিছু অস্ত্র বাইরে রয়ে গেছে। এগুলো যেন আমরা খুব দ্রুত উদ্ধার করতে পারি, সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আরাকানের দিক থেকে মাদকের চালান আসা কিছুটা কমেছে। তবে সেটা আশাব্যঞ্জক না। সমাজ থেকে মাদক দূর করাটা আমাদের সবার দায়িত্ব।

উপদেষ্টা বলেন, রাস্তার পাশে তেল বিক্রি করা বন্ধ থাকবে। এসব তেল দিয়ে অনেক সময় অনেক অঘটন ঘটায়। ট্রাইব্যুনাল, মেট্রোরেল এলাকা, রেলওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ কেপিআইগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

নির্বাচনে কোন বাহিনীর কতজন সদস্য থাকবেন, এটা নির্ধারণ করা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শেষমুহূর্তের আগে এটা বলা যাবে না। তবে সম্ভাব্য বিষয় হচ্ছে দেড় লাখ পুলিশ থাকবে, প্রায় এক লাখ সেনা সদস্য, ৩৫ হাজার বিজিবি, সাড়ে ৫ লাখ আনসার সদস্য এবং চার হাজারের মতো নৌবাহিনীর সদস্যরা থাকবে।

১৩ নভেম্বর ঘিরে বিশেষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্যাট্রোলিংয়ের সংখ্যায় বাড়িয়েছি, কেপিআইগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছি, বাসে আগুন দেওয়ায় খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। ঢাকায় আটটি জোনে বিভক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা আছে।

উপদেষ্টা বলেন, বাসে আগুন এবং কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, এটা সত্য কথা। এগুলো যেন আর না করতে পারে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এগুলো করছে তারা দুষ্কৃতকারী। এদের প্রতিহত করার দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়, বরং রাজনৈতিক দল, সচেতন জনগণ এবং আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা এগিয়ে আসবেন– আমার অনুরোধ।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে কোনো বহিরাগত সন্ত্রাসী যাতে দেশে আসতে না পারে এ বিষয় সরকার কী করছে– এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এটার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এয়ারপোর্টে আগুনের ঘটনায় অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ খোয়া গেছে। সরকার এ বিষয় কীভাবে দেখছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি রয়েছে। তদন্তের পর আমরা বলতে পারব এখানে আসলে কি হয়েছে।

সন্দেহভাজন কাউকে ধরে আইনের হাতে দিলে এটা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতি করবে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, না, এমন সম্ভাবনা নেই। বাড়িতে আপনার বাচ্চারা দুষ্টুমি করলেও তো তাদের শাসন করেন।

শেয়ার করুন