০১ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০৫:১৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
১৬৫ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ শিশুকে দেওয়া হবে পুষ্টিকর খাবার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১০-২০২৫
১৬৫ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ শিশুকে দেওয়া হবে পুষ্টিকর খাবার

আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে দেশের ১৬৫ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এতে প্রায় ৩১ লাখ শিশু সপ্তাহে পাঁচ দিন ডিম, দুধ, কলা, পাউরুটি, বিস্কুট ও দেশীয় ফল পাবে।


সোমবার (২৭ অক্টোবর) মিরপুরে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। তিনি জানান, মানসম্মত খাবার পেলে শিশুরা স্কুলে আরও মনোযোগী হবে, পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে এবং স্কুলে ঝরে পড়ার হার কমে যাবে।


মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দারিদ্র্যের হার অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় একটি করে উপজেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ খাবার দেওয়া হবে। তবে বান্দরবান ও কক্সবাজারের সব উপজেলার সব বিদ্যালয়ই এই ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় থাকবে।’


সাক্ষাৎকারে মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘সারাদেশে বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য, যা পূরণের জন্য আগামী নভেম্বর মাসেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া প্রায় ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক চলতি দায়িত্বে বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। একটি মামলার কারণে পদোন্নতি প্রক্রিয়া স্থগিত আছে।


তিনি আশাবাদী হয়ে বলেন, ‘রায় হয়ে গেলে এই ৩২ হাজার পদ পূরণ করা যাবে এবং নতুন নিয়োগও সম্ভব হবে।’


প্রধান শিক্ষকদের জন্য দশম গ্রেড ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। প্রধান শিক্ষকদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগের কথাও জানান মহাপরিচালক।


তিনি বলেন, ‘আগে ক্ষুদ্র মেরামত বা স্লিপ প্রকল্পে প্রধান শিক্ষকরা দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারতেন, এখন তা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হচ্ছে।’ তবে নির্মাণ বা মেরামতের কাজের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক থাকবে বলে জানান তিনি।


শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তর প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারঅ্যাকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ফ্ল্যাট প্যানেল বিতরণের পর্যায়ে রয়েছে।’


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা চাই আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে কোনো জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকে। অবকাঠামো, পুষ্টি, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’


শেয়ার করুন