বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু দেশের রাজনীতিতেই নয়, গণতান্ত্রিক পৃথিবীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও একটি অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সংবাদটি নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে—এটা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। এবারও আমরা আশা করছিলাম, আগের মতোই তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন। আজ আমরা মহা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দাঁড়িয়ে আছি।” তিনি জানান, চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিনের ঘোষণার পর জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন।
তিনি বলেন, “আজ ভোর ৬টায় আমাদের গণতন্ত্রের মা, আমাদের অভিভাবক, জাতির অভিভাবক আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই শোক ও ক্ষতি অস্বাভাবিক এবং অপূরণীয়। এই জাতি কোনোদিন এই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না। যে নেত্রী সারাজীবন জনগণের অধিকার ও কল্যাণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ আর আমাদের মাঝে নেই।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো। শুধু তাই নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও একটি বিরাট শূন্যতা তৈরি হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টায় একটি বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, ক্যাবিনেট বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় সমন্বয় করে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।
