নোয়াখালীর সদরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. জসিমকে (৩২) সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
র্য্যাব জানায়, ভিকটিম নিঃসন্তান ছিলেন। তার স্বামী পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। তিনি মাইজদী শহরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এজন্য সপ্তাহে একদিন বাড়িতে যেতেন। গৃহবধূ পালিত কন্যাসন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে গৃহবধূর ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে জসিম ও তার আরেক সহযোগী। পরবর্তীতে গৃহবধূর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করা হয়। জসিম গৃহবধূর মুখ চেপে ধরলে তিনি জসিমকে চিনে ফেলেন। এ সময় ভিকটিমের মুখে চুল ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু গণমাধ্যমকে বলেন, গৃহবধূর স্বামী অনুপস্থিত থাকার সুযোগে প্রতিবেশী জসিম দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীকে নানা অঙ্গভঙ্গি ও কটূক্তির মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করতেন। গৃহবধূর মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামি জসিম পলাতক ছিলেন। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাকে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।