১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার, ০২:৫০:৫৮ অপরাহ্ন
স্টারবাকসের বিরুদ্ধে জিতল ‘সাত্তার বকশ’
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২৫
স্টারবাকসের বিরুদ্ধে জিতল ‘সাত্তার বকশ’

পাকিস্তানের করাচিতে ছোট একটি ক্যাফে ‘সাত্তার বকশ’ আন্তর্জাতিক শিরোনামে এসেছে। কফি জায়ান্ট স্টারবাকসের সঙ্গে ট্রেডমার্ক আইনি লড়াইয়ে এই ক্যাফে বিজয়ী হয়েছে। আদালত ‘সাত্তার বকশ’-এর পক্ষেই রায় দেয়, যা স্থানীয় সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক ব্যঙ্গকে বৈধতা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


২০১৩ সালে রিজওয়ান আহমদ ও আদনান ইউসুফ চালু করা ‘সাত্তার বকশ’ কেবল দারুণ কফির জন্য নয়, বরং মজার লোগো ও অভিনব ব্র্যান্ডিংয়ের জন্যও পরিচিত। সবুজ রঙের গোলাকার লোগোতে গোঁফযুক্ত এক পুরুষের ছবি রয়েছে, যা অনেকের চোখে স্টারবাকসের মারমেইড প্রতীকের সাদৃশ্যপূর্ণ মনে হলেও প্রতিষ্ঠানটি সবসময় জানিয়েছে, এটি অনুকরণ নয়।


ক্যাফেটির নামও পাকিস্তানের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত। মালিকরা জানিয়েছেন, লোগোর চিত্র, লেখার ধরন ও রঙ স্টারবাকসের লোগোর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সাত্তার বকশ’-এর সঙ্গে স্টারবাকসের কোনো সম্পর্ক নেই।


শুধু লোগোতে নয়, খাবারের তালিকাতেও ক্যাফেটি নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাদের খাবারের মিশ্রণে বার্গার, পিৎজা থেকে শিশা পর্যন্ত সব পাওয়া যায়। খাবারের নামও মজার—যেমন ‘বে-শরম বার্গার’ (বান বা রুটি ছাড়া) এবং ‘এলওসি পিৎজা’ (ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের নামানুসারে), যা স্থানীয় রসবোধ ও সৃজনশীলতাকে তুলে ধরে।


পাকিস্তানের ট্রেডমার্ক আইন অনুযায়ী, সুপরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর অনুকরণ করা নিষিদ্ধ, যাতে গ্রাহক বিভ্রান্ত না হন। স্টারবাকস দাবি করেছিল, ‘সাত্তার বকশ’ এই নিয়ম ভেঙেছে। কিন্তু স্থানীয় ক্যাফেটি তার ব্যঙ্গাত্মক ব্র্যান্ডিং, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ও অনন্য মেনু তুলে ধরে পাল্টা যুক্তি দেয়।


শেষ পর্যন্ত আদালত স্থানীয় ক্যাফেটির পক্ষেই রায় দেয়, যা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি নিশ্চিত করেছে। এই রায়কে পাকিস্তানের উদ্যোক্তা মহল এবং আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা একটি দৃষ্টান্তমূলক জয় হিসেবে দেখছেন।


শেয়ার করুন