০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার, ০৯:২৮:২০ অপরাহ্ন
আমিরাতের পর এবার সৌদি আরবের কড়া বার্তা পেলো ইসরায়েল
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৯-২০২৫
আমিরাতের পর এবার সৌদি আরবের কড়া বার্তা পেলো ইসরায়েল

ইসরায়েল পশ্চিম তীরকে মানচিত্রে যুক্ত করলে আরব দেশগুলোর সাথে স্বাভাবিক সম্পর্কে ফেরার সব সুযোগ হারাবে বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি যুবরাজ ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। এর আগে, ইসরায়েলকে এমন সতর্কবার্তা দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।


ইসরায়েলি গণমাধ্যম কান নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের সাথে বৈঠক চলাকালীন এ মন্তব্য করেন সৌদি যুবরাজ।


মূলত, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব নিয়ে আবুধাবির কঠোর অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে রিয়াদ। ২০২০ সালে পশ্চিম তীর নতুন করে দখলের পরিকল্পনা স্থগিত করার শর্তে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশ।


এদিকে, কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই পশ্চিম তীরকে নিজেদের মানচিত্রে যুক্ত করার রূপরেখা চূড়ান্ত করছে ইসরায়েল।


সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে দেশটির অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, গুটিকয়েক এলাকা বাদে পশ্চিম তীরের বেশিরভাগ অঞ্চলকেই ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের অংশ বানানো হবে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে চিরতরে মুছে দিতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।


গত ২৩ জুলাই পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত করতে অনুমোদন দেয় ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেট। সংসদের সিদ্ধান্তে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দল লিকুদসহ তার জোটের অন্যান্য দলকে সেদিন বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা যায়।


১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। এরপর ৯০’র দশকে, অসলো অ্যাকর্ডের আওতায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়ার লক্ষ্যে অঞ্চলটিকে ভাগ করা হয়েছিলো তিন ভাগে। ৫ বছর মেয়াদী সেই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি। ফিলিস্তিনের অংশ না বুঝিয়ে দিয়ে গত ত্রিশ বছর ধরেই পশ্চিম তীর সেই তিনভাগে বিভক্ত রয়ে গেছে।


শেয়ার করুন