০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার, ০৩:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন
ছাত্রদল নেতা মাহমুদুলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৯-২০২৫
ছাত্রদল নেতা মাহমুদুলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহমুদুল হাসানের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগকারী শিক্ষকদের সুপারিশ ও তদন্ত কমিটির প্রস্তাব বিবেচনায় গত ২৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শিক্ষকদের সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে। 


গত ১০ জুলাই ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদকে মারধর করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।


এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম তাকে রক্ষা করতে গেলে গালাগাল করে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ,  ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। ওই ঘটনায় মাহমুদুলসহ পাঁচজনের ওপর শাস্তি আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান বলেন, মাহমুদুল একজন ভালো শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা।


ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির ফল। সে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার্থীদের আবেদন ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা শাস্তি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে মাহমুদুল ক্যাম্পাসে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও  শিক্ষকদের সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে। 


এ ব্যাপারে মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি ভুল-বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অপতৎপরতা রোধ করা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আমি শিক্ষকদের অশ্রদ্ধা করিনি।


শিক্ষকদের সুপারিশ ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসের শান্তি ও শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখব।


শেয়ার করুন