সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে প্রেমের ধরণ। সম্পর্কে এখন শুধু উপহার বা মিষ্টি কথাই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন একে অপরের পাশে থাকা, বোঝাপড়া, সম্মান দেওয়া, মূল্য ও বৈধতা স্বীকার করা। এর যেকোনো কিছুর অভাবেই নড়ে যেতে পারে সম্পর্কের ভিত।
তবুও, প্রেম সবসময়ই মধুর।
তবে যদি একের পর এক সম্পর্ক বারবার ভেঙে যেতে থাকে, তাহলে শুধু সঙ্গীকেই দোষারোপ না করে—নিজেকেও একবার যাচাই করে দেখা জরুরি। কেননা, অনেক সময় আমরাই নিজের অজান্তে হয়ে উঠি সম্পর্কের রেড ফ্ল্যাগ। যেভাবে বুঝবেন আপনি নিজেই সমস্যার অংশ কি না, চলুন জেনে নিই।
সবসময় নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা
প্রেমে ঝগড়া বা মতের অমিল স্বাভাবিক। তবে প্রতিবার রাগের মাথায় দুর্ব্যবহার করার পর সেটিকে যুক্তি দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করলে বুঝবেন সমস্যা আপনার মধ্যে। যদি সঙ্গীর কষ্টকে পাত্তা না দেন বা তাকে মানাতে না চান, তবে এবার নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
ডমিনেটিং মানসিকতা
আপনি যদি সবসময় চান সঙ্গীকে নিজের মতো করে গড়তে, নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করাতে তবে সেটি ভালোবাসার আবদার নয়, নিয়ন্ত্রণের মানসিকতা।
যা সম্পর্কে স্বাধীনতা ও স্বস্তি কেড়ে নেয়।
বিপদে পাশে না থাকা
শুধু ভালো সময় কাটানোই সম্পর্ক নয়। জীবনের কঠিন সময়ে সঙ্গীর পাশে দাঁড়ানো জরুরি। যদি সঙ্গী সবসময় আপনাকে সমর্থন করে, অথচ তার বিপদে তাকে আপনি এড়িয়ে যান তবে প্রশ্ন উঠবে আপনি সত্যিই তাকে ভালোবাসেন কিনা।
সঙ্গীর সাফল্যে ঈর্ষা
প্রমোশন, বেতন বৃদ্ধি বা সাফল্যে যদি সঙ্গীর খুশি আপনাকে আনন্দ না দিয়ে বিরক্ত করে, তবে এটি স্পষ্ট সংকেত যে আপনি সম্পর্কের জন্য সঠিক নন।
ঈর্ষার বদলে তার সাফল্যে গর্বিত হওয়া শিখতে হবে।
নিজের ভুল স্বীকার করতে না চাওয়া
ভুল সবারই হয়। আপনার সঙ্গী যেমন ক্ষমা চায়, তেমনই আপনিও ভুল করলে ক্ষমা চান তো? নাকি ভুল ঢাকার জন্য মিথ্যা বলেন? যদি এমন অভ্যাস থাকে, এখনই পরিবর্তন আনুন। ভুল স্বীকার ও সংশোধন সম্পর্ককে মজবুত করে।
তর্কে জিততেই হবে
প্রতিটি তর্কে নিজের কথাকেই একমাত্র সত্য মনে করে সঙ্গীকে বোঝানোর চেষ্টা করলে তার মতামত গুরুত্ব পায় না। এতে ধীরে ধীরে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।
আচরণ বদলে যাওয়া
সম্পর্কের শুরুতে সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল থাকলেও, সময়ের সাথে সাথে আচরণ পাল্টে ফেলেন অনেকে। এই হঠাৎ বদল সঙ্গীর মনে চাপ ফেলে এবং সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।
সূত্র: এশিয়া নেট বাংলা