ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় বৈষম্য নিরসনসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকেৃর সামনে ‘রাজশাহী বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারগণ’ ব্যানারে শত শত শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- নবম গ্রেডে কোনো কোটা ছাড়াই শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিতে হবে, দশম গ্রেডের নিয়োগ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের আবেদন করতে দিতে হবে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। ডিপ্লোমাধারীদের জন্য ‘টেকনিশিয়ান’ পদবি নির্ধারণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্লোমাধারী সিন্ডিকেট রাজনৈতিক প্রভাব ও সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকৌশল খাতকে জিম্মি করে রেখেছে। এর ফলে শীর্ষ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, “দশম গ্রেড উন্মুক্ত করতে হবে এবং নবম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে মেধার ভিত্তিতে। প্রমোশনাল মাধ্যমে নবম গ্রেডে আসা অন্যায়। এতে প্রকৌশল খাত মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীরা ন্যায্য দাবিতে রাজপথে নেমেছে। আমরা চাই তারা দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাক। তবে এজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিমন শেখ বলেন, “নবম গ্রেডে পদোন্নতির মাধ্যমে নয়, পরীক্ষার মাধ্যমেই নিয়োগ হতে হবে। দশম গ্রেড সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। আর বিএসসি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না।”