২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১১:২০:৫০ অপরাহ্ন
অনাহারে গাজাবাসীদের মৃত্যু রোধের আহ্বান বারাক ওবামার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৭-২০২৫
অনাহারে গাজাবাসীদের মৃত্যু রোধের আহ্বান বারাক ওবামার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ‘প্রতিরোধযোগ্য’ দুর্ভিক্ষ বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।  স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) এক এক্স পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান। 


মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওবামা বলেন ‘যদিও গাজা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সব জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং ইসরাইলি সামরিক অভিযান বন্ধ করা আবশ্যক— এই নিবন্ধগুলো নিরীহ মানুষের মৃত্যু রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে আন্ডারস্কোর করে।'


তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর ‘অনুমতি দিতে হবে’।


সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন,  ‘বেসামরিক মানুষদের থেকে খাবার এবং পানি দূরে রাখার কোনও যুক্তি নেই।'


এর আগে রোববার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেন, গাজায় অপুষ্টির হার ‘উদ্বেগজনক পর্যায়ে’ পৌঁছেছে।




সংস্থাটি আরও বলেছে, সহায়তার ‘ইচ্ছাকৃত অবরোধ’ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য ছিল এবং এর ফলে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এই বছর অপুষ্টিজনিত ৭৪টি মৃত্যুর মধ্যে ৬৩টি ঘটেছে জুলাই মাসে - যার মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সি ২৪টি শিশু, পাঁচ বছরের বেশি বয়সি একজন শিশু এবং ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।




ডব্লিউএইচওর মতে, গাজার প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্য একজন এখন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং জুন থেকে চার থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের তীব্র অপুষ্টিতে ভোগার পরিসংখ্যান তিনগুণ বেড়েছে। 


১০ ঘণ্টা হামলা স্থগিত রাখার ঘোষণা


ইসরাইলের অবরোধের কারণে গাজায় সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘ। উপত্যকাটিতে ‘ব্যাপক হারে দুর্ভিক্ষ’ ছড়িয়ে পড়ছে বলে গত বুধবার সতর্ক করেছিল শতাধিক মানবাধিকার সংস্থা। এ ছাড়া গাজায় দেখা দেওয়া ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ থামানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।


এএফপি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আজ গাজার কিছু এলাকায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে ‘কৌশলগত সামরিক কর্মকাণ্ড’ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা বলেছে, উপত্যকার আল মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা নগরীতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হামলা চালানো হবে না। এ সময়ে জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সড়কপথে নিরাপদে ত্রাণ পাঠাতে পারবে।



শেয়ার করুন