সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)-এর সম্মেলনের ফাঁকে চীনের বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। এসসিওভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে যৌথ বৈঠকের সময় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
চীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের লক্ষ্য ছিল এসসিও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার ভাষণে বহুপক্ষীয়তাকে এগিয়ে নেওয়া এবং নিরাপত্তা জোরদারে এসসিওর ভূমিকাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ইউরেশিয়া অঞ্চলের বৃহত্তম জনসংখ্যার এই জোটে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও বেলারুস রয়েছে।
এদিকে, তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসহাক দার। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা ইউ হং এবং পাকিস্তানের চীনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত খলিলুর রহমান হাশমি।
এ বছরের এসসিওর প্রতিপাদ্য ‘শাংহাই স্পিরিটের ধারক: এসসিওর কার্যক্রম’ অনুসারে সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সংহতি এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসসিও ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক সন্ত্রাসবিরোধী কাঠামো (র্যাটস) গড়ে তুলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বৈঠকে আঞ্চলিক শান্তি ও সংযুক্তির প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এসসিওর স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উদ্যোগগুলোতে ইসলামাবাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ফোনালাপ
এদিকে চীন সফরের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। ফোনালাপে পাকিস্তানের বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
ফোনালাপে দার বৈশ্বিক শান্তি, বহুপক্ষীয় কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এ সময় পাকিস্তানের সভাপতিত্বকালে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে মহাসচিবকে অবহিত করেন তিনি।
দুই নেতা নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে আরও বৈঠক এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে সম্মত হন। ইসহাক দার জাতিসংঘের বৈশ্বিক কার্যক্রম এবং মানবিক সহায়তার কাজে প্রশংসা জানিয়ে সংস্থাটিকে অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।