গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে চলতি বছরের মার্চ থেকে পুনরায় শুরু করা ইসরাইলের সামরিক অভিযানে সাত লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর আনাদোলুর।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রোববার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ দুই দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো খান ইউনিসের কিছু অংশে বাস্তুচ্যুতির আদেশ জারি করেছে। আমাদের সহকর্মীরা অনুমান করেছেন যে, ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ওই এলাকায় রয়েছেন, যারা বাস্তুচ্যুত হতে পারেন। ’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে গাজায় ৭ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেকেই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের যাওয়ার কোনো নিরাপদ স্থান নেই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সপ্তাহান্তে ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া হাসপাতালে সাহায্য চাইতে গিয়ে আহত রোগীর সংখ্যা উপচে পড়ছে। ’
জাতিসংঘের এ মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আবারও সকল বেসামরিক নাগরিকের হত্যার স্পষ্ট নিন্দা জানাই। ’
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ডুজারিক বলেন, ‘গাজায় প্রতি তিনের মধ্যে একজন কয়েকদিন ধরে কিছু খায়নি, যার ফলে গাজার আরও বেশি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ’
গাজার অভ্যন্তরে ত্রাণ বিতরণ প্রবাহকে সহজতর করার জন্য ইসরাইলকে সব ক্রসিং খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টানা চতুর্থ মাস ধরে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজায় কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়নি। জ্বালানি গাজার লাইফলাইন। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে আর কোনো বিলম্ব ছাড়াই এই পণ্যটি প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। ’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘জ্বলানি ঘাটতির কারণে গাজা আসন্ন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের শিকার হতে পারে। ’
তিনি আরও জানান, ‘রোববার আটটি মানবিক সমন্বয় প্রচেষ্টার মধ্যে তিনটি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে, যা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। ’