বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে গত এক সপ্তাহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। জাতীয় দলের খোঁজ নেওয়ার সময় যেন ছিল না। বিসিবির হুট করে মনে হয়েছে, অনেক এজেন্ডা বাকি।
তাই রেকর্ডসংখ্যক এজেন্ডা নিয়ে সোমবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকেছিলেন আমিনুল। সভায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর সামনের আসর বসবে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে।
এছাড়া আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। প্রায় ছয় ঘণ্টারও বেশি সময়ের ম্যারাথন সভা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে আসেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ।
আগস্ট বা সেপ্টেম্বর বলে কিছু নেই। আমাদের আলোচনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখনো ভারতকে নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের উইন্ডো খালি রেখেছি।
বিসিবি সভাপতি হওয়ার পর এই ছিল আমিনুল ইসলামের দ্বিতীয় সভা। এদিকে আগস্টে ভারতের পূর্বনির্ধারিত বাংলাদেশ সফর নিয়ে তাদের সরকারের কিছু নির্দেশের অপেক্ষায় আছে বোর্ড। এ ব্যাপারে বিসিবি ইতিবাচক বলে আমিনুল জানান।
তার আশা, ভারত এই সফরে আসবে। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্রিকেট-সুবিধার কথা চিন্তা করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকার মধ্যে উইকেট করা হবে। সিমেন্ট দিয়ে হবে। আবার কোথাও আরও ভালো উইকেট হবে। আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ, কোচিং বিভাগের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আম্পায়ারদের নিয়ে গ্রেডিং পদ্ধতি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিখ্যাত আম্পায়ার সাইমন টফেলের সঙ্গে আমাদের তিন বছরের চুক্তি হয়েছে। এছাড়া আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গ্রেড ওঠা-নামা হতে পারে। টফেলও কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। ব্যস্ততার মধ্যে এসেই পুরো টিম নিয়ে কাজ করবেন তিনি।’
এছাড়া পূর্বাচল ও ফতুল্লা স্টেডিয়াম খেলার উপযুক্ত করতে শিগগিরই কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ঢাকায় কিছু মাঠ অনুশীলনের উপযোগী করে তোলা হবে। মেয়েদের ক্রিকেটে নির্বাচক হিসাবে মেয়েদের যুক্ত করার প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বোর্ড। হান্নান সরকারের জায়গায় আরেকজনকে নিয়োগ দেবে বিসিবি।
বিপিএলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইফতেখার বলেন, ‘ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিপিএলে যেমন অন্য দেশে স্পোর্টস এজেন্সিকে দেওয়া হয়, সেভাবে হতে পারে। এবার কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য দল দেওয়া হবে। বিপিএল কমিটিতে ক্রিকেট কমিটির বাইরের লোকজনকেও দায়িত্ব দেওয়া হবে। সরকার থেকেও নেওয়া হতে পারে।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘দেশীয় আইটি কোম্পানির মাধ্যমে একজন ক্রীড়াবিদ কি করছে সেটা জানার জন্য অ্যাপ সুবিধা আনা হচ্ছে। ব্র্যাক আইটির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছে। বিসিবির সাপোর্টিং স্টাফদের মেডিকেল সুবিধার কথা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান আসছে, এজন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ভারত সফর নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
আগস্টে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে দেশে আসার কথা ভারত দলের। তবে সেটি এখন শঙ্কায়। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আগস্ট বা সেপ্টেম্বর বলে কিছু নেই। আমাদের আলোচনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখনো ভারতকে নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের উইন্ডো খালি রেখেছি। তারা যদি কোনোভাবে এই সময়ে না আসতে পারে, তাহলে পরে যখন সময় হবে তখন আসবে।’