চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে-এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। সেই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ঈদেও আগে আন্দোলনে নামেন কর্মচারীরা। ঈদের ছুটি শেষে একই দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন কর্মচারীরা।
সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে গণজমায়েত করবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। বাংলাদেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাদামতলায় জড়ো হবেন কর্মচারীরা। গণজমায়েতের পর স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তারপর ঐক্য ফোরামের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আজকের গণজমায়েতে অংশ নিতে ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের অর্ডিন্যান্সের অনুরূপ অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি এবং হাস্যকর সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অবিলম্বে বাতিলের লক্ষ্যে ঈদ পরবর্তী গণজমায়েতে অংশ নিন।
কর্মচারী নেতারা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনার জন্য আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হলেও কমিটি আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। আমরা সোমবার থেকে আন্দোলনে যাচ্ছি।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিল। তারা এই অধ্যাদেশটি নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন।