ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা এখন বড় পর্দাতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন রূপে পর্দায় হাজির হচ্ছেন এই অভিনেত্রী। যাত্রাপালার শিল্পীদের সঙ্গে এবার 'ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস' সিনেমায় বড় পর্দায় দেখা যাবে তাকে।
যাত্রার সঙ্গে সিনেমাটির নির্মাতা আসিফ ইসলামের পরিচয় হয়েছিল শৈশবে। সেই স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে ২০১৮ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা' যাত্রাপালা দেখতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে তার মনে হয়, যাত্রাশিল্প এখন পরিণত হয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক নৃত্য-আসরে। গল্পের চেয়ে দর্শকের আগ্রহ ছিল শহর থেকে আসা একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে। কয়েকটি দৃশ্যের পরেই পালা থেমে যায়, দর্শকদের দাবির মুখে অপমানে মঞ্চ ছাড়তে হয় পালার প্রধান অভিনেতাকে। সেই ঘটনা নিয়েই ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আসিফ ইসলাম।
ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সিনেমার শুটিং। ভাবনা ছাড়া এতে আরও অভিনয় করেছেন অরবিন্দু মজুমদার, মাহমুদ আলম, এ কে আজাদ সেতু, জান্নাতুল বাকের খান, সালাউদ্দিন শেখ প্রমুখ। সব ধরনের সিনেমায় অভিনয় করতে চান না ভাবনা। নিজেকে যুক্ত করতে চান ভালো আর গল্পনির্ভর সিনেমায়। ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস সিনেমার গল্পটা পড়ে তার মনে হয়েছে, এটা আর দশটা সিনেমার মতো নয়।
ভাবনা বলেন, ‘আমার ফিলোসফির সঙ্গে সিনেমার ভাবনাটা বেশ যায়। আমি মনে করি, উই লস্ট আর্ট ফর্ম ইন দিস গ্ল্যামারস ওয়ার্ল্ড। যাত্রাশিল্পটার বেলাতেও তা-ই ঘটছে। সেই গল্পটাই তুলে এনেছেন পরিচালক। আমি পরিচালককে বিশ্বাস করেছি, গল্পটাকে বিশ্বাস করেছি, আমার চরিত্রটাকে বিশ্বাস করেছি। নিজেকে চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৯ কেজি ওজন বাড়িয়েছি। আমি শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী, কিন্তু এই সিনেমার জন্য প্রিন্সেসদের যে নাচ, সেটা আয়ত্ত করেছি। সহশিল্পীরা সবাই যাত্রাশিল্পী হওয়ায় নিজেকে প্রিন্সেস হিসেবে তৈরি করাটা সহায়ক হয়েছে। আমার বিশ্বাস, সিনেমাটি সব মিলিয়েই স্পেশাল হয়ে উঠবে। দর্শকদের মনে ভাবনার খোরাক জোগাবে। গ্ল্যামার ও বিউটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সিনেমাটিতে। এতে যারা কাজ করেছেন, তারা সত্যিকারের যাত্রাশিল্পী। তাই পারফরম্যান্সের জায়গা থেকে তাদের জন্য কাজটা সহজ ছিল। কারণ, তারা নিজেদের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন।'
নির্মাতা জানান, চলতি বছরের শেষ দিকে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। উৎসব ঘুরে এসে আগামী বছর দেশে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।