১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৭:২৫:২৬ অপরাহ্ন
জাতিসংঘকে সরিয়ে কাকে দিয়ে গাজায় ত্রাণ দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র?
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৫-২০২৫
জাতিসংঘকে সরিয়ে কাকে দিয়ে গাজায় ত্রাণ দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র?

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে, যেখানে জাতিসংঘ এবং তার সংস্থাগুলোর পরিবর্তে বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।


এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। 


এই সপ্তাহে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি বলেন, ওয়াশিংটন গাজায় একটি নতুন ত্রাণব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে খাদ্য এবং অন্যান্য সরবরাহ ‘বিতরণ কেন্দ্র’- এর মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।  এটি  নিরাপত্তা ঠিকাদারদের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে। 


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই ত্রাণ ব্যবস্থাটি প্রাথমিকভাবে গাজার দশ লাখেরও বেশি মানুষকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করবে।  যদিও এতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার কথা নয়, তবে দখলদার বাহিনী সাহায্য কেন্দ্রগুলোর পরিধি সুরক্ষিত রাখার কাজ করবে।


মাইক হাকাবি আরও বলেন, ‘ইসরাইল প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদানে জড়িত থাকবে কারণ এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র। কিন্তু তারা খাদ্য বিতরণে, এমনকি গাজায় খাদ্য আনার ক্ষেত্রেও জড়িত থাকবে না। ‘


এমনই একটি বেসরকারি কোম্পানি হল নতুন নিবন্ধিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। কোম্পানিটি গাজায় খাদ্য, পানি এবং স্বাস্থ্যবিধি সরঞ্জাম বিতরণের জন্য চারটি বিতরণকেন্দ্র স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।


মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার জন্য ত্রাণ একটি জরুরি বিষয় হিসেবে দেখেন।  তার টিমকে এটি ত্বরান্বিত করার জন্য এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হল এই অভিযোগ যে হামাস ‘ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ চুরি করছে’।  


তবে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এই পদক্ষেপকে এড়িয়ে যাচ্ছে।  বিবিসি অনুসারে, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র জেন্স লারকে বলেন, তারা ‘কেবল আমাদের নীতির সাথে সংগতিপূর্ণ প্রচেষ্টায়’ অংশগ্রহণ করবে।


তবে এই নতুন ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে ‘এমন কোনও ব্যবস্থা স্থাপন করার কোনও কারণ নেই যা কোনও নীতিগত মানবিক সংস্থার ডিএনএ’র সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’


শেয়ার করুন