২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৮:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
শার্শার দুই মাদক কারবারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২২
শার্শার দুই মাদক কারবারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

যশোরে আলাদা মাদক মামলায় শার্শার দুই মাদক কারবারীকে

যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার স্পেশাল জজ

(জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ

ফাহমিদা জাহাঙ্গির আলাদা রায়ে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো,

শার্শার আমড়াখালী গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে নজরুল ইসলাম ও শার্শার বারোপোতা

গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে শামীম হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের

স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা ও এপিপি খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন

মুকুল।


মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩১ মে ভোরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরের দত্তপাড়া গ্রামে অবস্থান নেয়। এ সময় একটি

প্রাইভেটকার আসতে দেখে পুলিশ থামার সংকেত দিলে দ্রুত চলে যায়। পুলিশ পিছু

ধাওয়া করে নারাঙ্গালী গ্রামের রাস্তায় গাড়ি সহ নজরুলকে আটক করে। এ সময়

গাড়িতে থাকা তিনজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে পেছনের ডালা

থেকে ১ হাজার বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে।  এব্যাপারে এসআই কামরুজ্জামান বাদী

হয়ে আটক নজরুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ

আইনে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ আগষ্ট এস আই সাব্বিরুল

ইসলাম আটক নজরুল ও বেনাপোালের দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে

বাবুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না

পাওয়ায় অপর দুইজনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি

নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন

সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের

আদেশ দিয়েছেন বিচারক। অপর আসামি বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না

হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম কারাগারে আটক

আছে।


এছাড়া ২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর রাতে শার্শা থানা পুলিশ নাভারণ-সাতক্ষীরা

মহাসড়কের ভুট্টোর হোটেলে সামনে অভিযান চালিয়ে শামীম নামে এক ব্যক্তিকে

আটক করে। এ সময় তার হাতে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ৬শ’ গ্রাম হোরোইন

উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এস আই ইমরুল হুসাইন বাদী হয়ে আটক শামীমকে আসামি

করে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৮ মার্চ এস

আই কানু চন্দ্র বিশ্বাস আসামি শামীমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা

দেন। এ মামলার রায়ে আসামি শামীমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার

টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন

বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম কারাগারে আটক আছে।

শেয়ার করুন