১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ১২:৫০:৪৪ অপরাহ্ন
বিএনপির মিত্রদের ফের মাঠে নামার প্রস্তুতি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৫-২০২৪
বিএনপির মিত্রদের ফের মাঠে নামার প্রস্তুতি

দীর্ঘদিন পর আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপির মিত্ররা। সে লক্ষ্যে শুরু হয়েছে সাংগঠনিক তৎপরতাও। ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে গতি ফেরাতেই এ প্রস্তুতি। এবার নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ধরে রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়তেও কর্মসূচি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজধানীসহ মহানগর ও জেলা পর্যায়ে কর্মিসভার পাশাপাশি নিষ্ক্রিয় নেতাদের সক্রিয় করার পরিকল্পনাও রয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় আবারও রাজনীতিতে ফিরতে যাচ্ছেন ড. রেজা কিবরিয়া। দলগুলোর বিভিন্ন সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির সমমনা দলগুলোর অনেক নেতা হাল ছেড়ে দিয়েছেন। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কেউ কেউ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে নতুন করে আবারও আশার আলো দেখছেন তারা। ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আবার মাঠে নামতে চান তারা।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ৪ দিন আগে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ড. রেজা কিবরিয়া। এরপর তাকে আর রাজনীতিতে দেখা যায়নি। দীর্ঘ ৪ মাস পর আবার দলে ফিরছেন তিনি। গণঅধিকার পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা পদে থেকে দলের হাল ধরবেন বলেও যুগান্তরকে জানিয়েছেন কয়েকজন নেতা। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সমমনাদের নিয়ে সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নেবেন তিনি।

রোববার সন্ধ্যায় ড. রেজা কিররিয়া যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি কখনো রাজনীতি ছাড়িনি। গণঅধিকার পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আছি।’

এদিকে দলের নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে কর্মিসভার উদ্যোগ নিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ১০ মে থেকে ৮ বিভাগে কর্মিসভায় অংশ নেবেন মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। ১০ মে রংপুর, ১১ মে রাজশাহী, ১৯ মে চট্টগ্রাম, ২৪ মে বরিশাল কর্মিসভা করার কথা রয়েছে। পরে এসব বিভাগে জনসমাবেশ করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। এনিয়ে শনিবার রাতে বৈঠক করে গণতন্ত্র মঞ্চ। ভারতীয় পণ্য বর্জন ইস্যুতে আবারও মাঠে নামবে ১২ দলীয় জোট। চলতি মাসেই অন্তত ৩টি মহানগরে লিফলেট বিতরণ করবেন জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে জনমত তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে এ জোট। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটও নতুন করে কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কি ধরনের কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায় তা নিয়েও কয়েক দফা আলোচনা করেছেন জোটের শীর্ষ নেতারা। এছাড়া জোরালো ভাবে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে নুরুল হক নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে সভা-সেমিনার, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। এছাড়া অন্য দলগুলোও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সাজাচ্ছে।

শেয়ার করুন