১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ০৩:৪২:০২ পূর্বাহ্ন
শিডিউল বিপর্যয় অব্যাহত যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৫-২০২৪
শিডিউল বিপর্যয় অব্যাহত যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

রেলে শিডিউল বিপর্যয় কাটেনি ৩ দিনেও। ফলে রোববারও বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শনিবার ভোরে স্টেশনে এসে রাত ৪টার দিকে রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ট্রেনে উঠেছেন। অন্যান্য গন্তব্যের যাত্রীদের একই অবস্থা হয়েছে। রোববার রংপুর এক্সপ্রেস কখন ছাড়বে তা কেউ বলতে পারছেন না। অথচ এই ট্রেনের ৫ মের টিকিটের যাত্রীদের অধিকাংশই সকালে কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছান। তারা রাত পর্যন্ত স্টেশনেই বসে আছেন। এছাড়া উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল রুটে যাতায়াত করে এমন প্রতিটি ট্রেন ৩ থেকে ১১ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। ট্রেন দেরিতে চলার প্রভাব পড়েছে দেশের প্রায় সব স্টেশনে। এসব স্থানে যাত্রীরা অপেক্ষায় থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

শুক্রবার জয়দেবপুরে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের পরপরই বিশেষ করে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে চলা প্রায় সব ট্রেনের শিডিউল লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকাল থেকেই শিডিউল বিপর্যয়ের খেসারত দিচ্ছেন যাত্রীরা। আজই এর নিরসন হবে তা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। ফলে আগাম টিকিট কেটে রাখা যাত্রীদের দুর্ভোগ দ্রুতই কাটবে তা নিশ্চিত করতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী যুগান্তরকে বলেন, মূলত জয়দেবপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। উদ্ধার কাজ সমাপ্ত হলেও লাইন মেরামতের কাজ এখনো চলছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, র‌্যাক স্বল্পতার কারণে আমরা দ্রুততার সঙ্গে শিডিউল বিপর্যয় রোধও করতে পারছি না।

পর্যাপ্ত ইঞ্জিন, কোচ ও জনবল থাকলে বিলম্বিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা না করে-অতিরিক্ত ট্রেন দিয়ে নির্ধারিত রুট পরিচালনা সম্ভব ছিল। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ থাকত না। যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনেও অপেক্ষ করতে হতো না। তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি ট্রেনের ভাড়া রেয়াত বাতিল করেছি। বর্তমানে যাত্রীরা অতিরিক্ত টাকায় টিকিট ক্রয় করছেন। বেশি টাকায় টিকিট কাটা যাত্রীরা সেবা ও নিরাপত্তা চাচ্ছেন। কিন্তু আমরা তা যথাযথভাবে দিতে পারছি না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন