২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৭:৪৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
আগামী বছর এসএসসি ও এইচএসসি এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৮-২০২৩
আগামী বছর এসএসসি ও এইচএসসি এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর আমাদের চেষ্টা থাকবে এইচএসসি পরীক্ষার সময় এগিয়ে এপ্রিলে নিয়ে আসা। আর এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করব। 


তিন শিক্ষা বোর্ডে দশ দিন দেরিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও একসঙ্গে রেজাল্ট হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিন বোর্ডে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমরা চেষ্টা করব ৬০ দিনের মধ্যে একসঙ্গে রেজাল্ট প্রকাশ করতে। 


দেশে ডেঙ্গু মারামারি বাড়লে ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই ডেঙ্গু আক্রান্ত অসুস্থ পরীক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসাসহ বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।’ 


এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় তীব্র জ্যামের কারণে পরীক্ষাদের আসতে ভোগান্তি প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, সময়টা সমন্বয় করলে ভালো হতো। কিন্তু এইচএসসিতে দুই বেলা পরীক্ষা থাকলে পরীক্ষার সময় পরিবর্তনে ঝামেলা হয়ে যায়। 


বিভিন্ন কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা ও কেন্দ্রের সামনে সিট প্লান না থাকা প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, দেখে থাকি কেন্দ্রের গেটেই অভিভাবকেরা ভিড় জমান, তারা পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে যদি একটু দূরে থাকলে এ সমস্যা হতো না। দেখা যায়, একটু পরে যেসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে খুব কষ্ট হয়। আমি অভিভাবকদের কাছে সবিনয় অনুরোধ করব আপনারা আপনার সন্তানকে কেন্দ্রে নামিয়ে একটু দূরে চলে যান। 


এবার প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি নেই দাবি করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর প্রশ্ন ফাঁসকারীরা অভিনব কায়দা বের করে। আমাদের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়। প্রত্যেক বার যা যা ঘটে আমরা কিন্তু তা ভুলে যাই না। সেসবের জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা আমরা করি। আশা করি এবার নতুন কিছু ঘটবে না। নতুন-পুরোনো কোনো সমস্যা এবার থাকবে না—এ জন্য সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপরও আমাদের চোখ-কান খুলে রাখতে হবে। সকল কেন্দ্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। গত পাঁচ বছরে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, তারপরও একটি মহল সব সময় গুজব ছড়িয়ে আসছে। এখন সেই গুজব কমেছে। 


এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষাসচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমদ, আন্ত শিক্ষা ভোট সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।


শেয়ার করুন