২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:২৭:৩৯ অপরাহ্ন
আলিয়া এখন আমার জীবনে ডাল-ভাত: রণবীর
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৬-২০২২
আলিয়া এখন আমার জীবনে ডাল-ভাত: রণবীর

রণবীরের বিয়ের পর কেমন যাচ্ছে কাপুর পরিবার। পারিবারিক বন্ধন কি আলগা হয়ে গেছে নাকি আরও দৃঢ় করেছেন আলিয়া। এসব প্রশ্ন তাদের ভক্তদের মুখে মুখে।

অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে বিয়ের পর রণবীরের জীবন বদলে গেছে- এ কথা স্বীকার করেছেন রণবীর।

এবার রণবীর তার ভক্তদের বোঝাতে চাইলেন, বিয়ের পর এক ধাক্কায় যেন বাস্তবকে টের পাচ্ছেন তিনি। দাম্পত্য জীবনে এসে তার উপলব্ধি এটিই যে, আলিয়া তার সব কিছুতে মিশে গেছেন। প্রেমিকা আলিয়া আর সহধর্মিণী আলিয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আলিয়া এমনভাবেই জড়িয়ে গেছেন যে, তাকে ডাল-ভাত মনে হয় রণবীরের।  

শুক্রবার মুম্বাইয়ে ধুমধাম করে ‘সমশেরা’ সিনেমার ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে হাজির হন রণবীর।  সিনেমার প্রচারে এসে এ নায়ক জানালেন, নিজের দাম্পত্য জীবনের কথা।

বললেন, ‘আগে সিনেমার সংলাপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলতাম, জীবনটা কেবল ডাল-ভাতে চলে নাকি? হাক্কা চাউমিন, পাওভাজি, টেংরি কাবাব, সবই তো লাগে। কিন্তু এখন বলব— একটা সময়ের পর জীবনটা ডাল-ভাতই। ওই টুকুই মুখ্য হয়ে ওঠে। আলিয়া এখন আমার সেই জায়গা নিয়েছে। সে-ই ডাল-ভাত, আবার কখনো তাতে ঝাল, মসলা ইত্যাদি কত কী মিশছে! এ জীবন শান্তির, সুখের। আমার ভালো লাগছে।’

শুধু তাই নয়, আগে যেমন গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতেন, কোনো কিছুই সিরিয়াস নিতেন না। নায়কের মতো উড়ে বেড়াতেন, এখন সেগুলো আর করছেন না। একেবারে বদলে গেছেন। রণবীর জানালেন, এখন আর শুধু নিজের জন্য ভাবেন না তিনি। পরিবারের কথা ভেবে সব কাজ করেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে বিয়ে করেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। এর আগে তারা দীর্ঘদিন প্রেম করেছিলেন। বিয়ের আগে কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। তবে আগামী সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পাচ্ছে এই দম্পতির প্রথম সিনেমা ‘ব্রহ্মাস্ত্র’।

এদিকে ‘সমশেরা’য় চমক নিয়ে হাজির হবেন রণবীর। এই প্রথম দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমায় নিজের গোত্রের মানুষদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য শাসক দলের সঙ্গে তুমুল লড়াই করতে দেখা যাবে রণবীরকে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জঙ্গলের রাজা রবিন হুডের মতো ক্রীতদাস নেতা সমশেরাকে এঁকেছে যশরাজ ফিল্মস। এতে বড়লোকের ঘরে ডাকাতি করে গরিবদের টাকা জোগান রণবীর। সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ার করুন