২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ০৩:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন
রাবিতে ১১ দিনে জন্ডিস শনাক্ত ৮৫ শিক্ষার্থীর
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০১-২০২৪
রাবিতে ১১ দিনে জন্ডিস শনাক্ত ৮৫ শিক্ষার্থীর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বাড়ছে জন্ডিসে আক্রান্তের সংখ্যা। লক্ষণজনিত কারণে গত ১১ কার্যদিবসে মোট ১৭৭ শিক্ষার্থীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে জন্ডিস ধরা পড়েছে ৮৫ জনের। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের উপ-প্রধান টেকনিক্যাল অফিসার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তবে চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কিত না হয়ে বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি তাদের সার্বিকভাবে সচেতন হতে হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, একাডেমিক ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসে সাবমার্সিবল পাম্পের সংখ্যা খুবই কম। পানির অন্যান্য উৎসগুলো নিরাপদ না হওয়ায় এ রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল এবং একাডেমিক ভবনগুলোতে যেন বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়।


উপ-প্রধান টেকনিক্যাল অফিসার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান জানান, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭৭ জন শিক্ষার্থীর রক্ত পরীক্ষা করালে জন্ডিস ধরা পড়ে ৮৫ জনের। তাদের মধ্যে ১৫ তারিখ ১১ জনের পরীক্ষা করালে জন্ডিস আক্রান্ত ধরা পড়ে সাতজনের। এভাবে ১৬ তারিখে ১৩ জনে পাঁচজন, ১৭ তারিখ আটজনে ছয়জন, ১৮ তারিখে ২১ জনে ১২ জন, ২১ তারিখে ১৬ জনে ১০ জন, ২২ তারিখে ১৭ জনে আটজন, ২৩ তারিখে ১৫ জনে পাঁচজন, ২৪ তারিখে ১৮ জনে আটজন, ২৫ তারিখে ২৭ জনে সাতজন, ২৮ তারিখে ২০ জনে এগারোজন এবং ২৯ তারিখ ১১ জনে ছয়জন শিক্ষার্থীর জন্ডিস ধরা পড়ে।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ বলেন, আমাদের ধারণা, দূষিত পানি থেকে ছড়ানো হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাসের কারণেই শিক্ষার্থীদের জন্ডিস হচ্ছে। এটি মূলত একটি পানিবাহিত রোগ। এ রোগ থেকে নিরাময় পেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের সচেতনতা। যেসব শিক্ষার্থী হলে থাকে, তাদের সাবমারসিবলের পানি খেতে হবে। ক্যাম্পাসে হোটেল ও ক্যান্টিন মালিকদের উচিত নিরাপদ টিউবওয়েলের বা সাবমার্সিবল পাম্পের পানি দিয়ে রান্নার কাজ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা। লক্ষণ খারাপ মনে হলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে এসে ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।


এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, যেদিন থেকে জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়া শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই মেডিক্যাল সেন্টারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সচেতন হতে হবে। বাইরের পানি পান না করে টিউবওয়েল বা সাবমার্সিবল-এর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।


শেয়ার করুন