২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ১২:৫২:১০ অপরাহ্ন
সাদা চামড়া দেখলেই মাইক্রোফোন নিয়ে দৌড়াবেন না, কূটনীতিকদের ইঙ্গিত করে হুইপ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২৩
সাদা চামড়া দেখলেই মাইক্রোফোন নিয়ে দৌড়াবেন না, কূটনীতিকদের ইঙ্গিত করে হুইপ


সাদা চামড়া দেখলেই মাইক্রোফোন নিয়ে দৌড়াবেন না, কূটনীতিকদের ইঙ্গিত করে হুইপ 

অন্য দেশের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ভাইসরয় নয়। বাংলাদেশের গভর্নর জেনারেল নয়। সেদিন বাঘে খেয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘সাদা চামড়ার যাকে তাকে দেখলে ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন নিয়ে দৌড়াবেন না। তাঁদের কথাগুলো লিখে তাঁদের মহামানব বানানোর চেষ্টা করবেন না।’


আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে (২০২৩–২৪) অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন।


আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, পৃথিবীর সব দেশের সিভিল সোসাইটি গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটির একটি অংশ তাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, কিন্তু সেটা শেখ হাসিনাবিহীন গণতন্ত্র। তাঁরা বাজেট নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা বলে বাজেট নিয়ে উপহাস করার চেষ্টা করেন। 


মানুষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল বলেন, মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবে। আওয়ামী লীগ যখন সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করছে তখন কেউ কেউ গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে চাইছে। দেশে অরাজকতা তৈরি করতে চাইছে। 


বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা নির্বাচনে আসবে না। সরকারের পদত্যাগ করার কথা বলছে। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না। 

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, পালানোর অভ্যাস আওয়ামী লীগের নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। 

সরকারি দলের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, কোভিড ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এখন সব দেশে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতি আছে। সেটা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখায় আওয়ামী লীগ, স্বপ্ন সফল করে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাঁটু কাপে না। বিএনপির হাঁটু কাপে। তাঁদের জনসমর্থন নেই। যে কারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থীও দিতে পারেনি। 

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল। এখনো ভিসা নীতি, স্যাংশনের নামে বাংলাদেশে নজরদারি করতে চাইছে। বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু মানুষ এসব ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। তিনি সবক্ষেত্রে সজাগ থাকতে সরকারকে পরামর্শ দেন। 

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট দেখে মনে হয় মূল্যস্ফীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। দক্ষ মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ডাল, তেল, রসুন, পেঁয়াজসহ নানা পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে সেভাবে কমছে না। কিন্তু কৃষকেরাও ফসলের ন্যায্য মূল্য পান না। হাত বদলে পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

শেয়ার করুন